যুগ যুগ ধরে নানা প্রয়োজনে হলুদের ব্যবহার করে আসছে মানুষ। কারণ সকলেরই জানা হলুদের জাদুকরী গুণাগুন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এমন কিছু রোগ আছে যা হলুদ সারিয়ে দিতে পারে। এ কারণে নিয়মিত এই ভেষজ খাওয়া উপকারী। তবে উপকারী হলুদ নিয়েও অনেকের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে। গুঁড়া হলুদ বা শুকনো হলুদ খাওয়ার তুলনায় কাঁচা হলুদ খাওয়া বেশি উপকারী।
তাই তারা নিয়মিত বিশেষজ্ঞের মতামত ছাড়াই কাঁচা হলুদ খান। কিন্তু আসলেই কি গুঁড়া হলুদ বা শুকনো হলুদের চাইতে কাঁচা হলুদ বেশি উপকারী? পুষ্টিবিদরা বলছেন, হলুদে রয়েছে ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সিসহ একাধিক জরুরি ভিটামিন।
এসব ভিটামিন পুষ্টির ঘাটতি দূর ব্যাপারে দারুন কার্যকর। শুধু তাই নয়, হলুদে কারকিউমিন নামক এমন একটি অনন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা একাধিক ক্রনিক রোগের ঝুঁকি এড়াতে সাহায্য করে। তাই সুস্থ থাকতে নিয়মিত হলুদ খান।
আরও পড়ুন: কাঁচা হলুদের উপকারিতা
হলুদে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল-এর মাত্রা কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এমনকী রক্তনালীতে প্লাক বা ময়লা জমতেও বাধা দেয় এই উপাদান। তাই নিয়মিত হলুদ খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। হলুদে থাকা অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি ক্যানসারের ঝুঁকিও কমায়। হলুদে নানা ধরনের অ্যান্টিডায়াবেটিক উপাদান রয়েছে যা রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
এ কারণে ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত এই ভেষজ খেলে উপকার পাবেন। এমনকী সুগার প্রতিরোধ করতে চাইলেও রোজ হলুদ খেতে পারেন। এতে উপকার পাবেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতেও নিয়মিত খেতে পারেন এই ভেষজ। এছাড়া আইবিএস-এর মতো পেটের সমস্যা দূর করতেও হলুদ বেশ উপকারী।
কাঁচা হলুদ না শুকনা হলুদ
কাঁচা হলুদ ও শুকনা হলুদের মধ্যে পুষ্টিগুণ বিবেচনা করলে কাঁচা হলুদকে কিছুটা হলেও এগিয়ে রাখতে হয়। কারণ হলুদ শুকিয়ে গেলে তাতে কারকিউমিনের পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়। বিশেষ করে, রান্নায় ব্যবহৃত হলুদ গুঁড়াতে কারকিউমিনের মাত্রা খুবই কম থাকে। সেই তুলনায় কাঁচা হলুদে যথেষ্ট পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মজুত রয়েছে। তাই স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়মিত কাঁচা হলুদ খাওয়া অভ্যাস করুন।
দিনে কতটুকু হলুদ খাবেন
একজন সুস্থ-সবল ব্যক্তি দিনে হাফ থেকে এক ইঞ্চি কাঁচা হলুদ চিবিয়ে খেতে পারেন। কিংবা সম পরিমাণ হলুদ ছোট ছোট করে কেটে নিয়ে পানি দিয়ে গিলে খেতে পারেন। এতে একাধিক উপকার পাবেন। তবে একবারে বেশি পরিমাণে হলুদ খাওয়া ঠিক নয়।