দুঃখ মানুষের একটি স্বাভাবিক আবেগের অনুভূতি। কিন্তু দুঃখের মাত্রা বেড়ে গেলে অনেক সময় বিষণ্ণতার অনুভূতি জাগায়। চিকিৎসাশাস্ত্র অনুযায়ী, বিষণ্ণতার অনুভূতি সাধারণ দুঃখের অনুভূতি থেকে আলাদা। চলুন জেনে নিই দুঃখ আর বিষণ্ণতা কীভাবে আলাদা।
দুঃখ বিষণ্ণতায় পরিণত হয়
পছন্দের মানুষকে হারানো, সম্পর্কে বিচ্ছেদ, চাকরি হারানো ইত্যাদি বিষয় সুখের নয়। এগুলো মন খারাপের পাশাপাশি বিষণ্নতা সৃষ্টি করতে পারে। এ ছাড়া মেজাজ খারাপ, দৈনন্দিন কাজকর্ম ইত্যাদি অনেক ক্ষেত্রে বিষণ্ণতার সৃষ্টি করে।
বিষণ্ণতা যেভাবে বুঝবেন
মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, বিষণ্ণতার লক্ষণগুলো বোঝা জরুরি। দুঃখের অনুভূতিগুলো প্রায় প্রতিদিন হচ্ছে এবং দিনের বেশিরভাগ সময় ও প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে অনুভব করলে ধরে নিতে হবে বিষণ্ণতায় ভুগছেন।
দুঃখ ও বিষণ্ণতার পার্থক্য
মন খারাপ থাকলেও সাধারণ কাজকর্ম উপভোগ করা সম্ভব। তবে বিষণ্ণতার ক্ষেত্রে তা সহজ নয়। দুঃখের তুলনায় বিষণ্ণতার কারণে জীবনে নানান রকমের বিপত্তি ঘটতে পারে। দুঃখভাব সাধারণত ব্যক্তির সামগ্রিক কার্যকলাপের ওপর খুব একটা নেতিবাচক প্রভাব রাখে না। কিন্তু বিষণ্ণতা বোঝার জন্য কমপক্ষে দুই সপ্তাহ সময় নিয়ে লক্ষণগুলো পর্যবেক্ষণ করতে হয়। মন খারাপ বিষয়টা নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও বিষণ্ণতা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। মন খারাপকে নানাভাবে উতরাতে পারলেও যখন চেষ্টা ব্যর্থ হয়, তখন সেটা হয় বিষণ্ণতার লক্ষণ।
এ সময় যা করতে হবে
মানসিক স্বাস্থ্যসংক্রান্ত উদ্বেগের জন্য মনোবিজ্ঞানী ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত।
আপনার মতামত লিখুন :