উৎসবের আমেজ নিয়ে প্রকৃতিতে আসে শীত। তবে হার্টের সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের জন্য এই সময়টি খুব একটা আনন্দের হয় না। কেননা শীত এলে বেড়ে যায় হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি। তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শরীরের অভ্যন্তরীণ কার্যকলাপে যে পরিবর্তন হয় তাতেই মূলত এই ঝুঁকি বাড়ে।
শীতকালে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে কেন? চলুন বিস্তারিত জেনে নিই-
১. রক্তনালী সংকুচিত হওয়া (Vasoconstriction):
ঠান্ডার সংস্পর্শে এলে শরীর দ্রুত তাপ ধরে রাখার চেষ্টা করে। ফলে ত্বকের নিচের রক্তনালীগুলো সংকুচিত হয়ে যায়। এই প্রক্রিয়াটিকে ভ্যাসোকনস্ট্রিকশন বলা হয়। এর ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়, এবং হৃদপিণ্ডকে রক্ত পাম্প করার জন্য বেশি চাপ দিতে হয়।
২. রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা (Increased Coagulation):
শীতে রক্ত কিছুটা ঘন হয়ে যায় এবং রক্তের প্লেটলেটগুলো বেশি আঠালো হয়ে ওঠে। ফলে রক্তনালীর ভেতর সহজে রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা বাড়ে। এতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৩. ভিটামিন ডি-এর অভাব:
শীতকালে সূর্যের আলোর অভাব হয়। ফলে শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দেখা দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন ডি এর অভাব কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
৪. শারীরিক পরিশ্রম ও ঠান্ডা বাতাস:
খুব ভোরে বা সন্ধ্যার পরে অনেকে হাঁটতে বের হয়। তীব্র ঠান্ডায় হাঁটতে বের হলে কিংবা ভারী কাজ করলে ঠান্ডা বাতাস সরাসরি ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং শরীর দ্রুত শীতল হয়ে যায়। এটি হৃদপিণ্ডের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে।







































