সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুরুতর অসুস্থতার কারণে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন এবং সাধারণ মানুষ উদ্বিগ্ন। মায়ের পাশে থাকা এবং চিকিৎসার তদারকি করার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে অবস্থান করছেন। তবে তিনি আপাতত দেশে আসছেন না।
দলের সূত্র জানাচ্ছে, তারেকের দেশে না ফেরার নেপথ্যে মূলত পাঁচটি কারণ কাজ করছে:
১. জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কূটনীতি: দেশে ফেরার সময় রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রভাব বিবেচনা করা হচ্ছে।
২. ব্যক্তিগত নিরাপত্তা: তারেকের নিরাপত্তা অত্যন্ত স্পর্শকাতর, তাই সরাসরি দেশে আসা ঝুঁকিপূর্ণ।
৩. পাসপোর্ট জটিলতা: ভ্রমণ সংক্রান্ত প্রশাসনিক বিষয় এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
৪. ট্রাভেল পাস প্রয়োজন: সরকার অনুমোদিত ট্রাভেল পাস ছাড়া দেশে ফেরা সম্ভব নয়।
৫. রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ: দলীয় ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখনও দেশের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক বিভিন্ন প্রভাবের মধ্যে সমন্বয় প্রক্রিয়াধীন।
তারেক নিজেও ফেসবুকে উল্লেখ করেছেন, মায়ের পাশে থাকার আকাঙ্ক্ষা তার রয়েছে, কিন্তু সিদ্ধান্ত এককভাবে নেওয়া তার নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। তিনি দেশে ফেরা সংক্রান্ত সব বিষয় দেশী-বিদেশী চিকিৎসকদের সমন্বিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী করছেন।
বিএনপি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার অবস্থার উন্নতি হলে তাকে দ্রুত বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হবে, যেখানে তারেকের উপস্থিতি নিশ্চিত থাকবে। বিদেশে যাওয়ার জন্য সর্বোচ্চ পছন্দ হচ্ছে যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিক হাসপাতাল, যেখানে খালেদা জিয়া আগেও চিকিৎসা পেয়েছেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তারেকের দেশে ফেরা কোনো অনিশ্চয়তার মধ্যে নেই। পরিস্থিতি সুবিধাজনক হলে এবং মায়ের চিকিৎসা প্রয়োজনমতো বিদেশে হলে তিনি শিগগিরই দেশে ফিরবেন।

































