মোহাম্মদপুরে মায়ের দেহে ৩০টি ছুরিকাঘাত, মেয়ের দেহে অন্তত ৬টি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২৫, ০৯:৪৬ পিএম
মোহাম্মদপুরে মায়ের দেহে ৩০টি ছুরিকাঘাত, মেয়ের দেহে অন্তত ৬টি

ঢাকার মোহাম্মদপুরে আজকের মা-মেয়ে হত্যাকাণ্ডে নিহত লায়লা আফরোজের (৪৮) দেহে প্রায় ৩০টি এবং তার ১৫ বছর বয়সী মেয়ে নাফিসার দেহে অন্তত ৬টি ছুরিকাঘাত ছিল—এ তথ্য দিয়েছে পুলিশ ও মর্গ কর্মকর্তারা।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গের কর্মকর্তারা বলেন, দুইজনের গলা ও ঘাড় লক্ষ্য করেই মূলত ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।

আজ সকালে মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে নিজ বাসায় লায়লা এবং তার মেয়ে নাফিসা নাওয়াল বিনতে আজিজকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।

মাত্র চার দিন আগে কাজ শুরু করা খণ্ডকালীন গৃহকর্মীই এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ।

নাফিসার বাবা, ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলশিক্ষক এ জেড আজিজুল ইসলাম তখন কর্মস্থলে ছিলেন।

তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ ইবনে মিজান সন্ধ্যায় বলেন, গৃহকর্মীই এ ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে—ঘটনার আগে ও পরে শুধু ওই গৃহকর্মীই ফ্ল্যাটে ঢুকেছে ও বের হয়েছে। ফুটেজ আরও বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে অন্য কেউ জড়িত কি না।

ফুটেজে দেখা যায়, আয়েশা নামের ওই গৃহকর্মী সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে বোরকা পরে ফ্ল্যাটে ঢোকে এবং ৯টা ৩৬ মিনিটে স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যায়।

নিহত নাফিসার কাজিন নুরেম মাহপারা বলেন, ওই ড্রেসটি নাফিসারই ছিল।

পরিবারের সদস্যরা বলেন, সকাল ৭টার দিকে আজিজুল বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। স্কুলে পরীক্ষা থাকায় তিনি স্বাভাবিক সময়ের আগেই ফিরে আসেন। বারবার ডাকাডাকির পর সাড়া না পেয়ে তিনি চাবি দিয়ে দরজা খোলেন। প্রবেশমুখেই মেয়ের দেহ দেখতে পান এবং রান্নাঘরের মেঝেতে রক্তে ভেজা অবস্থায় লায়লার দেহ পান।

তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন এবং সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেন।

পরিবারের সদস্যরা জানান, হত্যাকাণ্ডের সময় পাশের দুই ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা বাইরে ছিলেন, তাই কেউ কোনো শব্দ শুনতে পাননি।

ভবনের ম্যানেজার মোহাম্মদ আইয়ুব বলেন, প্রায় ২০ বছর বয়সী ওই তরুণী চার দিন আগে কাজ চাইতে আসেন। পরিবার গৃহকর্মী খুঁজছিল বলে তাকে সেখানে পাঠানো হয়।

তিনি জানান, আজ স্কুলড্রেস পরার কারণে তিনি প্রথমে ওই নারীকে চিনতে পারেননি। তাকে থামালে সে বলে দুই দিন আগে অতিথি হিসেবে এসেছিল এবং এখন বের হচ্ছে। এরপর দ্রুত রিকশায় চলে যায়।

পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজনকে গ্রেফতারের জন্য একাধিক দল অভিযান চালাচ্ছে।

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!