অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পর তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। রোববার (১৬ নভেম্বর) ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩–এর বিচারক আফরোজা তানিয়ার আদালতে হাজির হয়ে তিনি ও তার ভাই আলিসান চৌধুরী জামিন আবেদন করেন।
এর আগে সোমবার (১০ নভেম্বর) বিচারক আফরোজা তানিয়া তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলাটি দায়ের করেছিলেন আমিরুল ইসলাম। তবে এই বাদীকে মেহজাবীন চেনেন না বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করেছেন। এটিকে তিনি হয়রানি হিসেবেও উল্লেখ করছেন।
সবার মনেই প্রশ্ন জেগেছে বাদী কে এই আমিরুল ইসলাম? এর উত্তরে জানা যায়, মামলার বাদী আমিরুল ইসলাম সম্পর্কে জানা গেছে, তার বাবার নাম মৃত সাদেক আলী। বর্তমানে তিনি রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানার মানিকদির নামাপাড়ায় বসবাস করেন। তার গ্রামের বাড়ি ফেনী সদর উপজেলার ফতেহপুরে।
মামলায় সূত্রে জানা যায়, বাদীর সঙ্গে দীর্ঘদিন পরিচয়ের সুবাদে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আসামি মেহজাবীন চৌধুরীর নতুন পারিবারিক ব্যবসার পার্টনার হিসেবে রাখবে বলে নগদ অর্থে এবং বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে মোট ২৭ লাখ টাকা দেন।
এরপর মেহজাবীন ও তার ভাই দীর্ঘদিন ব্যাবসায়িক কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ না নেওয়ায় বাদী বিভিন্ন সময় টাকা চাইতে গেলে আজকে দেব কালকে দেব বলে দীর্ঘদিন কালক্ষেপণ করে।
এতে আরও বলা হয়, পরবর্তী সময়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তারা ১৬ মার্চ হাতিরঝিল রোডের পাশে একটি রেস্টুরেন্টে আসতে বলেন। ওই দিন ঘটনাস্থলে গেলে মেহজাবীন ও তার ভাইসহ আরো অজ্ঞাতপরিচয় ৪ থেকে ৫ জন তাকে গালগাল করে।
তারা বলেন, ‘এরপর তুই আমাদের বাসায় টাকা চাইতে যাবি না’ তোকে বাসার সামনে পুনরায় দেখলে জানে মেরে ফেলব।
এসব কথা বলে তারা বাদীকে জীবননাশের হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট ভাটারা থানায় গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা করার জন্য পরামর্শ দেয়।
এরপর আমিরুল ফৌজদারি কার্যবিধির ১০৭/১১৭(৩) ধারায় মামলা করেন। নির্ধারিত দিনে আদালতে হাজির না হওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ঠিক করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর মেহজাবীন তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে লিখেছেন—আজ একটি ভুয়া ও মিথ্যা মামলার সংবাদ দেখে আমি বিস্মিত। বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই ধরনের কোনো ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আমি সরাসরি বা পরোক্ষভাবে জড়িত নই। বাদী আমিরুলকে আমি চিনি না।
তিনি আরও লিখেছেন, আমি সবসময় আইন, নিয়মনীতি ও সামাজিক মূল্যবোধ মেনে চলেছি। আমার আইনজীবী ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছেন, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন মিথ্যা প্রচারণা চালাতে না পারে।
গণমাধ্যমকে তিনি অনুরোধ করেন—যাচাই ছাড়া কোনো তথ্য প্রচার না করতে। তার ভক্তদের উদ্দেশে বলেন—আপনাদের ভালোবাসাই আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে সত্যের পাশে থাকুন।



-20251116170513.jpg)




























