রাজধানীজুড়ে রোববার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিকভাবে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণের শব্দে সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে কোনো ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি।
সন্ধ্যার পর প্রথম বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটে সেন্ট্রাল রোড এলাকায়, যেখানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বাসার সামনে দুটি ককটেল ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। এরপরই পল্লবী মেট্রোর নিচে একই ধরণের আরেকটি বিস্ফোরণ ঘটে।
রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কারওয়ান বাজার ও বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কার্যালয়ের সামনে ককটেলের আরেক দফা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে সেখানে টানা বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন স্থানীয়রা।
এদিকে বাড্ডা এলাকায় কেবল ককটেল বিস্ফোরণই নয়, একটি বাসেও আগুন ধরিয়ে দেয় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
রাজধানীর বাইরে গাজীপুরের টঙ্গীর স্টেশন রোডেও একই সময়ে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে সন্ধ্যায় ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী শহরে নাশকতা রোধে কঠোর নির্দেশনা দেন। তিনি জানান, রাস্তা-ঘাটে আগুন লাগানো বা ককটেল নিক্ষেপের চেষ্টা দেখামাত্রই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে—প্রয়োজনে পাল্টা গুলিও চালানো হবে।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি বিশেষ বাহিনীর টিমও মাঠে রয়েছে বলে জানা গেছে।































