• ঢাকা
  • বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

আমিরের সঙ্গে চুম্বন দৃশ্যে রাজি ছিলেন না জুহি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২৫, ০৯:৪৮ পিএম
আমিরের সঙ্গে চুম্বন দৃশ্যে রাজি ছিলেন না জুহি

একসময় বলিউডের পর্দায় রোমান্টিক জুটির সংজ্ঞা তৈরি করেছিলেন আমির খান ও জুহি চাওলা। ‘কয়ামত সে কয়ামত তক’ থেকে ‘হাম হ্যায় রাহি প্যায়ার কে’— তাদের অভিনীত একাধিক ছবি আজও দর্শকের মনে গেঁথে আছে। কিন্তু সেই নিখুঁত পর্দার রসায়নের আড়ালেও ছিল বাস্তব জীবনের তীব্র টানাপোড়েন।

১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ইশ্‌ক’ ছবিটি বক্স অফিসে ব্যাপক সাফল্য পায়। অজয় দেবগন ও কাজলের উপস্থিতিতে ছবিটি মাল্টিস্টারার হলেও, খুব কম মানুষই জানেন, এর শুটিং চলাকালীন জুহি ও আমিরের মধ্যে এমন এক ঝগড়া হয়েছিল, যা তাদের বহুদিনের বন্ধুত্বকেই প্রায় শেষ করে দেয়।

কী নিয়ে হয়েছিল সেই তীব্র ঝগড়া?

সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সবকিছুর সূত্রপাত হয় একটি চুম্বন দৃশ্যকে ঘিরে। ‘ইশ্‌ক’-এর মূল চিত্রনাট্যে জুহি ও আমিরের মধ্যে একটি হালকা রোমান্টিক মুহূর্ত রাখার পরিকল্পনা ছিল। জানা যায়, শুরুতে জুহি তাতে সম্মতিও দিয়েছিলেন।

কিন্তু পরবর্তীতে, মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান দৃশ্যটি আরও বেশি ‘প্রাকৃতিক’ দেখানোর জন্য তাতে কিছুটা পরিবর্তনের প্রস্তাব দেন।

আমিরের এই নতুন প্রস্তাব জুহির একেবারেই পছন্দ হয়নি। তিনি এতে তীব্র অস্বস্তি বোধ করেন এবং পরিবর্তিত সেই দৃশ্যটি করতে সরাসরি অস্বীকার করেন। এই সৃজনশীল মতভেদ থেকেই দুজনের মধ্যে শুরু হয় উত্তপ্ত বিতর্ক, যা একপর্যায়ে তীব্র ঝগড়ায় রূপ নেয়। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, জুহি রেগে সেট ছেড়েই চলে যান। সেই চুম্বন দৃশ্যটি আর কখনোই ধারণ করা হয়নি।

আমিরের স্বীকারোক্তি ও দীর্ঘ নীরবতা

পরে এক সাক্ষাৎকারে আমির খান এই ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, “জুহি আর আমি ‘ইশ্‌ক’ শুটিংয়ের সময় পাঁচ-ছয়বার ঝগড়া করেছি। সেই টানাপোড়েন বেশ কিছুদিন স্থায়ী ছিল।”

এই ঘটনার প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী। ৮০ ও ৯০-এর দশকে যে জুটি বলিউডে প্রেমের প্রতীক হয়ে উঠেছিল, সেই ঝগড়ার পর তারা দীর্ঘ বহু বছর একে অপরের সঙ্গে কথা বলেননি বা কোনো কাজও করেননি।

যেভাবে সম্পর্কের বরফ গলল

তবে সময়ের হাত ধরেই এই তিক্ততার অবসান ঘটে। বহু বছর পর, জুহি ও আমির আবার মিলিত হন এবং অতীত ভুলে তাদের বন্ধুত্ব পুনর্গঠন করেন। আজ তারা একে অপরকে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে খোলাখুলিভাবেই পরস্পরের প্রশংসাও করেন।

Link copied!