• ঢাকা
  • বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১, ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

আসলে কবে মারা গেছেন সুনেত্রা?


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২৪, ০৫:৩৩ পিএম
আসলে কবে মারা গেছেন সুনেত্রা?
নায়িকা সুনেত্রা। ছবি: সংগৃহীত

আশি-নব্বইয়ের দশকে বড় পর্দায় ঝড় তোলা মায়াবী চোখের সুনয়না অভিনেত্রী সুনেত্রা আর নেই। কলকাতায় মারা গেছেন। এমন খবর দিচ্ছে দেশের সংবাদমাধ্যমগুলো। তবে সুপারহিট বহু সিনেমার এই নায়িকা কবে, কীভাবে মারা গেছেন তার সঠিক তথ্য মিলছে না।

কোনো কোনো সংবাদমাধ্যম লিখছে, সোনালি দিনের সাড়াজাগানো চিত্রনায়িকা সুনেত্রা গত ২০ এপ্রিল ভারতের কলকাতায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। আবার উইকিপিডিয়া অভিনেত্রীর মৃত্যুদিন দেখাচ্ছে ২৩ এপ্রিল।

নায়িকা সুনেত্রার বিলম্বিত মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দিবাগত রাত ৩টা ৭ মিনিটে অভিনেতা জায়েদ খানের একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে।

পোস্টে জায়েদ খান লেখেন, ‘এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা, শৈশবে আমার পছন্দের একজন নায়িকা, চোখের প্রেমে পড়তো যে কেউ, তিনি সুনেত্রা। অনেকদিন বাংলাদেশ ছেড়ে কলকাতা। আমি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক থাকাকালে বেশ কয়েকবার ফোনে কথা বলেছিলাম। আজ হঠাৎ শুনলাম তিনি আর নেই, মৃত্যুবরণ করেছেন।’

জায়েদ খান আরও লেখেন, ‘নীরবে-নিভৃতে চলে গেলেন। এভাবেই হারিয়ে যায় মানুষ, চলে যায়। আপনি ভালো থাকবেন ওপারে। অনেক চলচ্চিত্র দেখবো, আর আপনাকে মিস করবো।’

মায়াবী চোখের সুনয়না অভিনেত্রী সুনেত্রা

জায়েদ খানের সেই পোস্টে ভক্ত-অনুরাগীরা সমবেদনা জানিয়েছেন। তবে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি চলচ্চিত্রে অভিনয় করা সুনেত্রার বিলম্বিত মৃত্যু সংবাদ যেমন ভক্তদের আবেগী করেছে একইসঙ্গে প্রশ্নবিদ্ধও করেছে। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর নেতাদের কেউ কি তার খোঁজ খবর রাখেননি। এক সময়ের ঢাকাই সিনেমায় ঝড় তোলা অভিনেত্রীর এভাবে চলে যাওয়া কি স্বাভাবিক?

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুনেত্রাকে ঢাকাই সিনেমায় নিয়ে আসেন পরিচালক মমতাজ আলী। তখনকার হার্টথ্রব নায়ক জাফর ইকবালের বিপরীতে ১৯৮৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘উসিলা’ সিনেমায় প্রথম দেখা যায় সুনেত্রাকে। অবশ্য ১৯৯০ সালে দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর ‘পালকি’ ছবির মাধ্যমেই তিনি দর্শক মহলে পরিচিতি ও ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান।

আশি-নব্বইয়ের দশকে বড় পর্দায় ঝড় তোলা  অভিনেত্রী

সেই সময়ে জনপ্রিয় অভিনেতা জসীম, সোহেল রানা, ফারুক, ইলিয়াস কাঞ্চন ও মান্নাসহ অনেকের সঙ্গেই পর্দা ভাগ করেছেন গুণী অভিনেত্রী সুনেত্রা। সর্বশেষ ১৯৯২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ঘর ভাঙা ঘর’ ছবিতে জাফর ইকবালের বিপরীতে অভিনেত্রীকে দেখা যায়। এরপরই ঢাকাই সিনেমা ছেড়ে চলে যান কলকাতায়।

জায়েদ খান বলেছেন, তিনি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক থাকাকালে বেশ কয়েকবার সুনেত্রার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। তবে ঢাকাই সিনেমা সংশ্লিষ্ট আর কার সঙ্গে সুনেত্রার যোগাযোগ ছিল সে বিষয়ে জানা যায়নি। তবে কলকাতায় যে তিনি গণমাধ্যমের আড়ালে চলে গিয়েছিলেন তা ধারণা করা যায়।

ফলে তার মৃত্যু সংবাদ ভারতীয় তথা কলকাতার কোনো সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হয়নি। ঠিক একইভাবে ঢাকাই সিনেমার কারো সঙ্গেও তেমন যোগাযোগ ছিল না। সেজন্যই কি জায়েদ খান আক্ষেপ করে লিখেছেন, “এভাবেই হারিয়ে যায় মানুষ, চলে যায়।”

পারিবারিক নাম ছিল রিনা সুনেত্রা কুমার।

প্রসঙ্গত, ১৯৭০ সালের ৭ জুলাই কলকাতার এক সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন সুনেত্রা। দুই ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ছোট। পারিবারিক নাম ছিল রিনা সুনেত্রা কুমার। মাধ্যমিক শেষ করেছিলেন কলকাতার গখলে মেমোরিয়াল গার্লস হাইস্কুলে। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিদ্যায় মাস্টার্স ডিগ্রি নেন। ছোটবেলা থেকেই সংস্কৃতি চর্চার প্রতি মনোযোগী ছিলেন। নাচ, গান ও অভিনয়ে নিজেকে তৈরি করেছিলেন সুনেত্রা। 

Link copied!