• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আমি আনন্দিত, আমাকে সম্মানিত করার জন্য: আলমগীর


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪, ০৯:৫২ পিএম
আমি আনন্দিত, আমাকে সম্মানিত করার জন্য: আলমগীর
নায়ক আলমগীর। ছবি:ফেসবুক থেকে

‘একুশে পদক ২০২৪’ পেতে যাচ্ছেন জনপ্রিয় অভিনেতা  আলমগীর। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আইরীন ফারজানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ্য এই পুরস্কার পেতে যাচ্ছে গুণী অভিনেতা আলমগীর। শিল্পকলা (অভিনয়) শাখায় এই পুরস্কার পাচ্ছেন তিনি।

 পদক পাওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে আলমগীর বলেন, ‘আমি আনন্দিত, এই সম্মানে আমাকে সম্মানিত করার জন্য। জীবনে কতটুকুই আর কাজ করলাম। আমাকে এই পুরস্কার দেওয়ায় আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ‘

পদক হাতে তুলে নেওয়ার সময় প্রধামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হতে পারে, তখন তাকে বিশেষ কিছু বলার আছে কি না জানতে চাইলে এই অভিনেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সামনে গিয়ে ওই মুহূর্তে আমার ইমোশন কী কাজ করবে তা আগে থেকে বলা সম্ভব না। কতটুকু বলতে পারব তা তো আগে থেকে বলা যায় না। তবে অবশ্যই একটি ধন্যবাদ জানাব।’

ভাষা আন্দোলন, শিল্পকলা, ভাষা ও সাহিত্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দেশের ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিককে ‘একুশে পদক-২০২৪’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তাঁদের মধ্যে শিল্পকলা শাখায় সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর ও শুভ্র দেব, নৃত্যশিল্পী শিবলী মোহাম্মদ, অভিনেতা এম এ আলমগীর, ডলি জহুর, আবৃত্তিকার শিমুল মুস্তাফা এবং ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটনও রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ছয়জনই মরণোত্তর এ সম্মাননা পাচ্ছেন।
একুশে পদক দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে একটি স্বর্ণপদক, এককালীন অর্থ (চেক) ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি নায়ক, প্রযোজক, পরিচালক এম এ আলমগীর। বহুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই মহানায়ক ২০১৯ সালের ৮ ডিসেম্বর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ‘আজীবন সম্মাননা’ প্রাপ্ত হন। তিনি পরিচালক হিসেবে সর্বশেষ ‘একটি সিনেমার গল্প’ নির্মাণ করেছেন।

আলমগীরের জন্ম ১৯৫০ সালের ৩ এপ্রিল রাজধানীর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে। তার শৈশব যৌবন কেটেছে তেজগাঁও এলাকায়। আলমগীর পরিচালিত সর্বশেষ সিনেমায় সুরকার হিসেবে অভিষেক হয়েই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন রুনা লায়লা। আবার একই সিনেমায় গান গেয়ে প্রথমবার সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন আঁখি আলমগীর। নায়ক আলমগীর আদ্যোপান্তই একজন সিনেমার মানুষ, একজন সিনেমাপ্রেমী মানুষ। শুধু যে অভিনয়ই করে গেছেন, এমনটি নয়।

অভিনয় জীবনের শুরু থেকে আজ অবধি সিনেমার মানুষসহ সাধারণ মানুষেরও বিপদে আপদে পাশে দাঁড়িয়েছেন। যে কারণে তিনি হয়ে উঠেছেন সিনেমা এবং বাস্তবের সত্যিকারের মহানায়ক। নানান বিশেষণ কখনোই নায়ক আলমগীরকে পুলকিত করেনা। কারণ তিনি সবসময়ই একজন অভিনেতা হবারই চেষ্টা করেছেন। একজন অভিনেতা হিসেবে কলেজ জীবনে নাটকে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে অভিনয় জীবনের যাত্রা শুরু হলেও মূলত ১৯৭২ সালের ২৪ জুন প্রয়াত বরেণ্য পরিচালক আলমগীর কুমকুম পরিচালিত ‘আমার জন্মভূমি’ সিনেমাতে অভিনয়ের জন্য প্রথম কামেরার সামনে দাঁড়ান। ১৯৭৩ সালের মাঝামাঝি এই সিনেমা মুক্তির আগেই আলমগীর সিরাজুল ইসলামের ‘দস্যুরাণী’, আজিজুর রহমানের ‘অতিথি’, আলমগীর কুমকুমের ‘মমতা’, মোহর চাঁদের ‘হীরা’ সিনেমার কাজ শুরু করেন। সেই থেকে আজ অবধি ২২৫টিরও বেশি সিনেমাতে অভিনয় করেছেন তিনি।

Link copied!