আবারও স্বমহিমায় মমতা শঙ্কর। উদিত নারায়ণের চুমু-কাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন । আনন্দবাজার অনলাইন জানিয়েছেন সেই কথা। মমতা শঙ্কর বলেন “এ সব কী হচ্ছে? একসঙ্গে সকলের মাথাখারাপ হয়ে গেল নাকি! হাসব না কাঁদব, বুঝতে পারছি না।” আক্ষেপ করেছেন এই বলে, “বেডরুম আর রাস্তাঘাট একাকার হয়ে গেল।”
উদিত নারায়ণ চুম্বন করেছেন এক তরুণী অনুরাগীকে। সেই তরুণী প্রথমে গায়কের সঙ্গে নিজস্বী তোলেন। তার পর শিল্পীর গালে চুম্বন করেন। এর পরেই গায়ক তার ঠোঁট রাখেন তরুণীর ঠোঁটে। শুনে বাকিদের মতো মমতাশঙ্করও প্রথমে বিশ্বাস করতে চাননি! ঘটনার সত্যতা প্রসঙ্গে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
শেষে জানিয়েছেন, কোথাও একটা সংযম, সীমারেখা থাকা দরকার। সে সব যদি মুছে যেতে থাকে, তা হলে এ রকমই কিছু ঘটে।
সম্প্রতি জাতীয় স্তরের সম্মানে সম্মানিত বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। এই প্রসঙ্গে তিনি উত্তমকুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের উদাহরণ দিয়েছেন। উত্তমকুমার প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, “ব্যক্তিগত জীবনে কী করেছেন জানি না। কিন্তু প্রকাশ্যে কখনও কাউকে অসম্মানিত করেননি। প্রত্যেককে তাঁর প্রাপ্য মর্যাদা দিয়েছেন। সেই জন্যই আজও তিনি সমান জনপ্রিয়। সম্মান দিলে সম্মান পাওয়া যায়।” তার মতে, একই কথা প্রযোজ্য সৌমিত্রবাবুর ক্ষেত্রেও।
বিনোদন দুনিয়ায় বহু যুগ ধরে অভিনেত্রীর আলাদা কদর। কখনও মমতাশঙ্কর পুরুষ অনুরাগীর থেকে এই ধরনের কোনও প্রস্তাব পেয়েছেন?
অভিনেত্রীর সপাট জবাব, “অনুরাগী দূর অস্ত, ইন্ডাস্ট্রি থেকেও এ রকম অনুরোধ জানানোর সাহস কেউ পাননি। কারণ, সারা ক্ষণ আমার চারপাশে সংযমের গণ্ডি টানা থাকে। পোশাকে, আচরণে কখনও সেই গণ্ডি অতিক্রম করিনি।”


































