• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের বিচার চায় মহিলা পরিষদ


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ১৯, ২০২৪, ০৭:১৫ পিএম
অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের বিচার চায় মহিলা পরিষদ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা আত্মহত্যার পর প্ররোচনার অভিযোগে সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মান ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মুখ সড়কে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

এসময় সংগঠনটির সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, “অবন্তিকা এক নিষ্ঠুর ষড়যন্ত্র ও সামাজিক অভিশাপের শিকার হয়ে আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এটা শুধুমাত্র নারী সংগঠন ও শিক্ষার্থীদের দায় নয়। এর পেছনে যাদের দায় তাকে দায় মোচনের জন্য এগিয়ে আসতে হবে। আজকে আমরা দেখছি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ঘটনাগুলো ঘটার পর শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। এখানে শুধু শিক্ষার্থীদের নয়, শিক্ষকদেরও এর দায় নিতে হবে।”

ডা. ফওজিয়া বলেন, “সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে ৯% শিক্ষক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংঘটিত যৌন নিপীড়নের ঘটনার সঙ্গে জড়িত, বাকি ৯১% শিক্ষককে এসব শিক্ষকের অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।”

প্রতিবাদ সমাবেশে ডা. ফওজিয়া মোসলেমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) সীমা মোসলেম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাসুদা রেহানা বেগম, সংগঠন উপপরিষদ সম্পাদক উম্মে সালমা বেগম, কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপপরিষদ সম্পাদক রেখা সাহা, সমাজকল্যাণ উপপরিষদ সম্পাদক হুমায়রা খাতুন, ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক রেহানা ইউনুস, লিগ্যাল সম্পাদক শামীমা আফরোজ আইরিন, ভারপ্রাপ্ত পরিচালক, লিগ্যাল অ্যাডভোকেসি অ্যাড. দিপ্তী সিকদার।

বক্তারা বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অবন্তিকার আত্মহননের প্রতিকারের দাবিতে, সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলমান যৌন নিপীড়নের ঘটনা বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সোচ্চার হওয়ার দাবিতে আজকের সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। আমরা এমন এক সমাজে বাস করছি যেখানে নারীর প্রতি অপরাধ ও অত্যাচার দিন দিন বেড়েই চলেছে। সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠেও নারী শিক্ষার্থীরা আজ নিরাপদ নয়। যৌন নিপীড়নের ঘটনায় ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার মতো অনেকেই বিষন্নতায় ভুগছে। তারাও যে আত্মহননের পথ বেছে নেবে না তার কোনো নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না।“

বক্তারা কোনো ঘটনা ঘটার আগেই পরিবার, শিক্ষকদের প্রতি সচেতন হওয়ার জন্য, তাদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দানের জন্য এবং বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা দূর করে অপরাধীদের দ্রুত কঠোরশাস্তি নিশ্চিতের ওপর জোর দাবি জানান।

সমাবেশ শেষে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের নেতারা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সাদেকা হালিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার মর্মান্তিক আত্মহননের ঘটনায় প্ররোচনাকারীদের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

Link copied!