• ঢাকা
  • বুধবার, ০৯ জুলাই, ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, ১৩ মুহররম ১৪৪৬

রাবির ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেনি নতুন কমিটি


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২৩, ০৬:০৪ পিএম
রাবির ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেনি নতুন কমিটি
ছবি: রাবির মূল ফটক তালা দিয়ে রাখে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের নতুন কমিটি নিয়ে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস। বিতর্কিতদের কমিটির শীর্ষ নেতৃত্বে আনা হয়েছে দাবি করে কমিটি হওয়ার পরের দিন থেকেই ক্যাম্পাসে শক্তভাবে অবস্থান নিয়েছে পদবঞ্চিত ও কাঙ্ক্ষিত পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।

দিনভর মোটরসাইকেল শোডাউন, মারধর, কক্ষ ভাংচুর, ককটেল বিস্ফোরণসহ নানাভাবে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন তারা। এ কমিটি বিলুপ্ত না করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানান তারা।

মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক ও  কাজলা গেটে তালা মারেন কাঙ্ক্ষিত পদবঞ্চিত নেতারা। পরে বিকেল সাড়ে চারটায় প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হকের উপস্থিতিতে তালা ভেঙে ফেলা হয়।

এদিকে নতুন কমিটি ঘোষণার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব ক্যাম্পাসে আসেননি। তবে আজ দুপুরে ক্যাম্পাসে তাদের প্রবেশের কথা থাকলেও এখনো পর্যন্ত তারা ঢুকতে পারেননি।

পদবঞ্চিত নেতাদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় কমিটি কোনো প্রকার যাচাই-বাছাই না করে টাকার বিনিময়ে এ কমিটি ঘোষণা করেছে। যেখানে এইচএসসি পাস করা ছাত্র, বিএনপি পরিবারের সন্তান ও সনদ জালিয়াতি করে সান্ধ্য কোর্সে ভর্তি হওয়া একজনকে ছাত্রলীগের একটি বড় ইউনিটের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বর্তমান সভাপতির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ছাত্ররাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ করেন তারা। এ ছাড়া নতুন কমিটিতে পদ পাওয়া বেশির ভাগ নেতা বিভিন্ন অভিযোগে বিতর্কিত বলে অভিযোগ করছেন তারা।

তবে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার রাতে তারা ঢাকায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ.এইচ.এম. খায়রুজ্জামান লিটন, তার স্ত্রী রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি শাহীন আকতার, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঙ্গে দেখা করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

এসব কর্মসূচির নেতৃত্ব দেওয়া শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শাহিনুল ইসলাম সরকার ডন বলেন, "এ কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি না দেওয়া পর্যন্ত আমরা ক্যাম্পাসে অবস্থান করব। নতুন কমিটির কোনো নেতাকর্মীকে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে দেওয়া হবে না।"

তবে নতুন কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, "আমাদের অভিভাবক জননেতা এ.এইচ.এম. খায়রুজ্জামান লিটন যে নির্দেশনা দিবেন আমরা সে অনুযায়ী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করব। আমরা এখনো তার নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছি।"

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক বলেন, "আন্দোলনরত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে আমাদেরকে অনুরোধ জানায়। পরে বেলা সাড়ে ৩ টার দিকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা ও মেইন গেটে তালা মেরে দেন। খবর পেয়ে আমি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করি। গেট খুলে দিতে তাদেরকে অনুরোধ করলে তারা তালার চাবি পাঠিয়ে দেয়। এরপরই আমরা গেটগুলোর তালা খুলে দিয়েছি। এছাড়াও আমরা সবসময় সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।"

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!