• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

গণমাধ্যমে বক্তব্য প্রচার, উপাচার্য বলছেন ‘নিজস্ব’ বক্তব্য নয়


কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৪, ০৯:৩৪ পিএম
গণমাধ্যমে বক্তব্য প্রচার, উপাচার্য বলছেন ‘নিজস্ব’ বক্তব্য নয়
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি : সংগৃহীত

‘নিজের বক্তব্য’ তিনটি দৈনিক পত্রিকায় প্রচারের অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের বিরুদ্ধে। তবে উপাচার্য বলছেন, “এটা আমার নিজস্ব কোনো বক্তব্য না। আমাকে জড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানহানি করে যে বিকৃত সংবাদ পরিবেশন হয়েছিল, সে অবস্থান পরিষ্কার করতেই এই ব্যাখ্যা ছাপানো হয়েছিল।”

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছরের ১৩ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিক এবং একটি স্থানীয় দৈনিকে একটি সংবাদের ব্যাখ্যা ছাপানো হয়। এরপর ১৪ আগস্ট আরেকটি জাতীয় দৈনিকে একই ব্যাখ্যা ছাপানো হয়। এই ব্যাখ্যা ছাপানোর ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মোট দুই লাখ ১৩ হাজার ৮০ টাকা (ভ্যাট, ট্যাক্স সহ) খরচ করে।

এর আগে গত বছরের ৩১ জুলাই কয়েকটি দৈনিক ও অনলাইনে ‘দুর্নীতি হচ্ছে তাই বাংলাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে : কুবি উপাচার্য’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর প্রেক্ষিতে উপাচার্য তিনটি আঞ্চলিক ও জাতীয় দৈনিকে নিজের বক্তব্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন’ হওয়ার বিপরীতে মন্তব্য প্রচার করেন।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ এমদাদুল হক বলেন, “বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য কোনো নীতিমালা নেই। গণমাধ্যমকর্মী ও দেশের নাগরিকদের ভুল ধারণা দুরীভুতকরণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বহুল প্রচারিত দৈনিকে উপাচার্যের বক্তব্য ছাপানো হয়েছে।”

কোষাধক্ষ্য অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “এ ধরনের সংবাদ প্রচার করে উপাচার্য স্যারের বক্তব্য বিকৃত করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়েরই সুনাম নষ্ট করা হয়েছে। এ প্রেক্ষিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্য স্যার তার বক্তব্য উপস্থাপন করে তার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। কিছু দুষ্কৃতকারী যে মাধ্যমে জনসাধারণের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করেছেন, এখন আমাদেরও তো সে মাধ্যমেই আমাদের অবস্থান জানাতে হবে। সেদিক থেকে আমার মনে হয় না গণমাধ্যমে এভাবে বক্তব্য উপস্থাপন ভুল কিছু। এটা বিশ্ববিদ্যালয়েরই স্বার্থেই করা কাজ।”

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, “শিক্ষার্থীদের এক অনুষ্ঠানে ক্রিটিক্যাল থিংকিং বিষয়ে বোঝাতে গিয়ে আমি একটি বক্তব্য দিয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে আমি শিক্ষার্থীদের বলেছিলাম তারা যেন মুখস্থ বিদ্যার পরিবর্তে তাদের ক্রিটিক্যাল থিংকিং গড়ার প্রতি জোড় দেয়। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আমার বক্তব্য অনুধাবন করলেও কতিপয় সাংবাদিক; যারা বিভিন্ন সময়ে আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক উন্নয়নের পথে বাঁধা দিয়েছে, তারা আমার বক্তব্যকে বিকৃত ও খণ্ডিতভাবে প্রচার করে। যা জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেজ নষ্ট করেছে।”

আবদুল মঈন আরও বলেন, “আমাকে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে জড়িয়ে এমন প্রচারণায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও প্রতিবাদ করেছেন। পরে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ওই সংবাদপত্রে প্রতিবাদলিপি দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের প্রতিবাদ প্রকাশ করেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দেওয়া আমার বক্তব্যকে বিকৃত, খণ্ডিত ও মিসলিডিং করে যে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে, মানুষকে সে সম্পর্কে সঠিক বক্তব্য জানানোর জন্য আমাদের বিকল্প পথ অনুসরণ করতে হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো অপপ্রচার সম্পর্কে দেশের নাগরিকদের সঠিক তথ্য অবগত করার ক্ষেত্রে কোনো বাঁধা থাকার কথা নয়।”

Link copied!