• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বেরোবিতে ছুটির পরে উদযাপন হবে পয়লা বৈশাখ


বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৩, ২০২৩, ০২:১৪ পিএম
বেরোবিতে ছুটির পরে উদযাপন হবে পয়লা বৈশাখ

বাঙালির প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখ শুক্রবার। দিবসটি উপলক্ষে প্রতিবছর বর্ণিল আয়োজন করে থাকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। এ বছর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় দিবসটি উদযাপনে ভিন্ন চিন্তা করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

গত ৬ এপ্রিল থেকে ৮ মে পর্যন্ত জুমাতুল বিদা, ঈদুল-ফিতর, মে দিবস, গ্রীষ্মকালীন অবকাশ, বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে টানা ৩৩ দিনের লম্বা ছুটিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। দীর্ঘ এই ছুটির কথা মাথায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরে আলোচনা সাপেক্ষে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের কথা ভাবছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মাদ আলী। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত। এই বিষয়টি মাথায় রেখেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছুটির পরে আলোচনা সাপেক্ষে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের কথা ভাবা হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী রুবেল হোসেন আদনান বলেন, “পয়লা বৈশাখ মূলত বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনকে কেন্দ্র করে বাঙালির একটি প্রাণের উৎসব। বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য এক অংশ। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পয়লা বৈশাখ উদযাপনের নির্দেশনা দেওয়ার পরও পরে এই দিনটিকে উদযাপন করা কতটুকু মর্যাদাপূর্ণ করবে বা এর অর্থ বহন করবে সেটা আসলে আমার বোধগম্য নয়।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন গুনগুনের প্রতিষ্ঠাতা সহযোগী অধ্যাপক উমর ফারুক বলেন, “সময়ের পরিক্রমায় বৈশাখী উৎসব আমাদের প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়েছে। বৈশাখ উদযাপন আমাদের দায়িত্বের অংশ হয়ে উঠেছে। যথাসময়ে বৈশাখ উদযাপন করাও আমাদের দায়িত্ব হয়ে উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি থাকায় পয়লা বৈশাখে প্রাণময় একটি বৈশাখী উৎসব আয়োজন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীরাই এসব আয়োজনের প্রাণ। তারা উপস্থিত না থাকলে এসব আয়োজন প্রাণহীন হয়ে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিৎ এই সংকট বিবেচনায় একটি উৎসবমুখর বৈশাখী উৎসব আয়োজনের জন্য সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা। আমরা একটি প্রাণময় বৈশাখী উৎসবে অপেক্ষায় রইলাম।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক সৈয়দ আনোয়ারুল আজিম বলেন, শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ছুটির পরে আলোচনা সাপেক্ষে বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা ভাবছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কারণ শিক্ষার্থীরাই বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনের প্রাণ।

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!