ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের খাদ্য অধিকার ও কৃষি খাদ্যব্যবস্থা-বিষয়ক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে।
বুধবার (২৬ জুলাই) খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এ সম্মেলন শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে খাদ্য নিরাপত্তা গড়ে তোলার লক্ষ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং সমন্বিত পন্থা গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, “খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে এ ধরনের সম্মেলন আয়োজন খুবই ফলপ্রসূ। এ সম্মেলন এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে খাদ্যচক্রের ভারসাম্য রক্ষায় ভূমিকা রাখবে। দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলন থেকে অনেক পরামর্শ আসবে, যা ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণে সহায়ক হতে পারে।”
তিনি বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে খাদ্যাভাব দূরীকরণ ও কৃষির পুনর্গঠনে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। ফলে এই সেক্টরে আজ আমরা সাফল্য অর্জন করেছি।”
তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) আয়োজিত ফুড সিস্টেম সামিটে যোগ দিতে ইতালির রাজধানী রোমে অবস্থান করছেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ কৃষি ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। কৃষকের জন্য ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থা, কৃষি ও সারে ভর্তুকি প্রদানসহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি বাংলাদেশ আজ চাল উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয়, মাছ উৎপাদনে দ্বিতীয়, সবজি উৎপাদনে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে টেকসই কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে সরকার ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ প্রণয়ন করেছে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে খাদ্য উৎপাদনে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। পৃথিবীর সর্বত্র খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্য বিশ্ব নেতাদের এগিয়ে আসতে হবে।”
এ সময় উপাচার্য বাংলাদেশে টেকসই কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার ওপর জোর দেন।
খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ এবং পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, নেপালের কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সঞ্জীব কুমার কার্ন ও কেয়ার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রমেশ সিং, খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মহসিন আলীসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
আপনার মতামত লিখুন :