• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

বাংলা নববর্ষ উদযাপন ও মঙ্গল শোভাযাত্রা উপলক্ষ্যে ঢাবির কর্মসূচি


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৪, ০৬:৩৪ পিএম
বাংলা নববর্ষ উদযাপন ও মঙ্গল শোভাযাত্রা উপলক্ষ্যে ঢাবির কর্মসূচি
বক্তব্য রাখছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।। ছবি : প্রতিনিধি

বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ উৎসবমুখর পরিবেশে উদ্যাপনের লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন কর্মসূচি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নববর্ষ উদযাপনের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

রোববার (২৪ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ে নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এ উপলক্ষে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মঙ্গল শোভাযাত্রা এবং নববর্ষ উদযাপনে নানা সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং কেন্দ্রীয় ও দুই উপকমিটি গঠন করা হয়েছে।

জানা যায়, বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এ বছর মঙ্গল শোভাযাত্রা চারুকলা অনুষদ থেকে সকাল ৯টায় বের করা হবে। মঙ্গল শোভাযাত্রা শাহবাগ মোড় হয়ে শিশুপার্কের সামনে থেকে ঘুরে পুনরায় শাহবাগ হয়ে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে গিয়ে শেষ হবে।

পয়লা বৈশাখে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের মুখোশ পরা এবং ব্যাগ বহন করা যাবে না। তবে চারুকলা অনুষদ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত মুখোশ হাতে নিয়ে প্রদর্শন করা যাবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভুভুজিলা বাঁশি বাজানো ও বিক্রি করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

নির্দেশনা
ক্যাম্পাসে নববর্ষের দিন সব ধরনের অনুষ্ঠান বিকেল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রবেশ করা যাবে। ৫টার পর কোনোভাবেই প্রবেশ করা যাবে না, শুধু বের হওয়া যাবে। নববর্ষের আগের দিন ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টার পর ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না। নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের যানবাহন চালানো যাবে না এবং মোটরসাইকেল চালানো সম্পূর্ণ নিষেধ। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বসবাসরত কোনো ব্যক্তি নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাতায়াতের জন্য শুধুমাত্র নীলক্ষেত মোড় সংলগ্ন গেইট ও পলাশি মোড় সংলগ্ন গেইট ব্যবহার করতে পারবেন।

এছাড়া নববর্ষের দিন ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সম্মুখস্থ রাজু ভাস্কর্যের পেছনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইট বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আগত ব্যক্তিবর্গ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের জন্য চারুকলা অনুষদ সম্মুখস্থ ছবির হাটের গেইট, বাংলা একাডেমির সম্মুখস্থ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইট ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন গেইট ব্যবহার করতে পারবেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে প্রস্থানের পথ হিসেবে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন গেইট, রমনা কালী মন্দির সংলগ্ন গেইট ও বাংলা একাডেমির সম্মুখস্থ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইট ব্যবহার করা যাবে।

সভা সূত্রে জানা গেছে, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সম্মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের হেল্প ডেস্ক, কন্ট্রোল রুম এবং অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প থাকবে। হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল মাঠ সংলগ্ন এলাকা, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকা, দোয়েল চত্বরের আশে-পাশের এলাকা ও কার্জন হল এলাকায় মোবাইল পাবলিক টয়লেট স্থাপন করা হবে।

সভায় নববর্ষের দিন নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা ও আর্চওয়ে স্থাপন করে তা মনিটরিং করার জন্য পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

কমিটি গঠন
বাংলা নববর্ষ উদযাপনের কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার উদ্দেশ্যে সভায় উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদকে আহ্বায়ক করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন এই কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।

কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়াও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নববর্ষ উদযাপনের লক্ষ্যে ২টি উপকমিটি গঠন করা হয়। এগুলো হচ্ছে, শৃঙ্খলা উপকমিটি ও মঙ্গল শোভাযাত্রা উপকমিটি। ১১ সদস্যবিশিষ্ট শৃঙ্খলা উপকমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান এবং সদস্য সচিব সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. লিটন কুমার সাহা।

৩২ সদস্যবিশিষ্ট মঙ্গল শোভাযাত্রা উপকমিটির আহ্বায়ক চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন এবং সদস্য-সচিব সহকারী প্রক্টর মো. নাজির হোসেন খান।

এসময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, রেজিস্ট্রার, সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্য, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, প্রক্টর, অফিস প্রধানগণ এবং বিভিন্ন সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!