• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চালুর দাবি ছাত্রলীগের


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২৪, ০৮:২২ পিএম
বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চালুর দাবি ছাত্রলীগের
ছাত্রলীগের সমাবেশ থেকে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চালুর দাবি জানানো হয়। ছবি : প্রতিবেদক

২০১৯ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হয়। নিষিদ্ধের পাঁচ বছর পর বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি চালুর দাবি জানিয়েছে ছাত্রলীগ।

রোববার (৩০ মার্চ) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অসাংবিধানিক, মৌলিক অধিকার পরিপন্থী ও শিক্ষা বিরোধী সিদ্ধান্ত আখ্যা দিয়ে ছাত্রলীগ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশ এ দাবি জানানো হয়। সেই সঙ্গে রাজনীতি নিষিদ্ধ ক্যাম্পাসে মাঝরাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রবেশের অভিযোগে বুয়েটের ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের কার্যনির্বাহী সদস্য ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বির হলের আবাসিক সিট বাতিল প্রত্যাহার করতে বুয়েট প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে সংগঠনটি।

এ সময় ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, “আমি বুয়েটে এর আগে অনেক গিয়েছি। এখন এটাকে অনুপ্রবেশ বলার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের যেকোনো জায়গায়, নাগরিক হিসেবে আমার যাওয়ার অধিকার রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সৌজন্যমূলক সম্পর্ক, পারিবারিক সম্পর্ক কিংবা ব্যক্তিগত সময় কাটানোর জন্য আমরা যেতে পারি। সংবিধান প্রদত্ত অধিকার হিসেবে বুয়েটে যাওয়ার অধিকার আমাদের রয়েছে। কাদের কাছে অনুমতি নিতে হবে? বাংলাদেশের সংবিধান আমাদের যে অধিকার দিয়েছে সে অধিকারকে ঠুনকো বানিয়ে দেবেন, আর আমরা কি সেটা মেনে নেব? এই আশা যারা করছে তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছে।”

বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চালু প্রসঙ্গে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, “বুয়েট প্রশাসনের কাছে আমাদের আহ্বান থাকবে অনতিবিলম্বে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে। যে নিয়ম আপনারা চালু করেছেন, এটি কালাকানুন। এই কালো আইন কোনো আদালতে, কোনো সংবিধানে টেকার কথা নয়। আল্টিমেটাম দিয়ে বলতে চাই, বুয়েটে অনতিবিলম্বে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি চালু করতে হবে। ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে এবং ইমতিয়াজ রাব্বির সিট ফিরিয়ে দিয়ে তাকে সসম্মানে বরণ করে নিতে হবে।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বলেন, “বুয়েটের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নিষিদ্ধ সংগঠন পোস্টার লাগায়, চিকা মারা হয় আর বুয়েট প্রশাসন তাদের উৎসাহিত করে। কিছুদিন আগের ঘটনায় প্রশাসন কোনো তদন্ত ছাড়া, নোটিশ ছাড়া, নিয়মবহির্ভূতভাবে একজন শিক্ষার্থীর সিট বাতিল করে। কেন আপনারা সিট বাতিল করেছেন? কেউ আপনাদের চাপ দিয়েছে? আজকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের হাজার-হাজার নেতাকর্মী যদি চাপ দেয়, পালানোর জায়গা খুঁজে পাবেন না।”

এ সময় ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বি বলেন, “বুয়েটে সুদীর্ঘ রাজনীতির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কারণে তা বন্ধ হতে পারে না। বরং যারা জাতীয় দিবস পালনে বাধা দিয়েছে, বুয়েট প্রশাসনের উচিত তাদের বিচারের আওতায় আনা।”

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক সজল কুণ্ডু, উত্তরের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ।

Link copied!