ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টির উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধু বক্তৃতামালা- ২২’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ওই বক্তৃতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। এছাড়া ‘বঙ্গবন্ধুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভাবনা : জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি ও উদ্ভাবনী বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল।
ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, “বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিজ্ঞানমনস্ক ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন একজন মহান ব্যক্তি। বিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর দেশ পুনর্গঠনের সময় বিভিন্ন আইন ও অ্যাক্ট প্রণয়ন করেছিলেন। দুর্যোগ মোকাবিলায় আগাম সতর্ক বার্তা প্রেরণে বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন এবং পরমাণু শক্তি কমিশন গঠন ও পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণসহ বিভিন্ন যুগান্তকারী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্বনির্ভর বাংলাদেশের যে ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন তার ওপর দাঁড়িয়ে তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে আজ এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।”
তথ্যপ্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ ও জ্ঞানভিত্তিক উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াসকে সফল করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্র বিনির্মাণ ও এর উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিজ্ঞান ভাবনা ও দর্শনের বিভিন্ন দিক আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন ও বিজ্ঞান শিক্ষা প্রসারের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু জ্ঞানভিত্তিক উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার বিভিন্ন সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছিলেন।”
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টির পরিচালক অধ্যাপক ড. ফখরুল আলমের সভাপতিত্বে ও ইনস্টিটিউটের রিসার্চ ফেলো তৌহিদুল হাসান নিটোলের সঞ্চালনায় এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আফতাব আলী শেখ।
আপনার মতামত লিখুন :