ঢাবিতে শক্তি সঞ্চয় করছে ছাত্রদল-শিবির, সংঘর্ষের আশঙ্কা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫, ১০:৫৮ পিএম
ঢাবিতে শক্তি সঞ্চয় করছে ছাত্রদল-শিবির, সংঘর্ষের আশঙ্কা

ডাকসু নির্বাচন ঘিরে দফায় দফায় মিছিল করছেন ছাত্রদল ও শিবিরের নেতাকর্মীরা। দুই পক্ষই শক্তি সঞ্চয় করছেন। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে জড়ো হয়েছেন এই দুটি সংগঠনের নেতারা। শুধু তাই নয়, প্রবেশদ্বারের বাইরেও তাদের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অবস্থান নিয়েছেন। অবশ্য অন্য প্যানেলের সমর্থকদের উপস্থিতি তেমন দেখা যাচ্ছে না। তবে সতর্ক রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ করেন ছাত্রদল ও শিবিরের নেতাকর্মীরা।

এর মধ্যে সন্ধ্যা ৬টায় মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনেন ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রশাসন সম্পূর্ণরূপে শিবিরের পক্ষে কাজ করেছে।

সেখান থেকে ফিরে তিনি টিএসসি কেন্দ্রে প্রবেশ করতে চান। তার সঙ্গে ছিলেন বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তারা তাকে প্রবেশ করতে দেননি। এ সময় নেতাকর্মীরা ‘রাজাকার’ ও ‘ভোট চোর’ স্লোগান দেন। পরবর্তীকালে আবিদের নেতৃত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতারা সিনেট ভবনের সামনে যান চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার কক্ষে।

এরই মধ্যে শিবিরের সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম। তিনি বলেন, একটি পক্ষ বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করছে। তিনি সব পক্ষকে ফলাফল মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান।

রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবকেন্দ্রে যান আবিদ। এ সময় শিবির-ছাত্রদল উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। রাত সোয়া ৮টায় ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি কেন্দ্রে যান ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। সেখানে ভোটার শামসুন্নাহার হলের ছাত্রীরা। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সেখানে অভিযোগ করেন, এলইডি বন্ধ করে ভোট গণনা হচ্ছে কারচুপির জন্য। অবস্থানরত ছাত্রীরা প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ছাত্রদলই এলইডি বন্ধ করেছে। একপর্যায়ে তারা সেখান থেকে সড়ে যান।

পুনরায় টিএসসির সামনে ছাত্রদল ও শিবিরের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পক্ষ অপর পক্ষকে বহিরাগত আখ্যায়িত করেন। এ সময় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এমন পরিস্থিতিতে দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি চোখে পরার মতো। বর্তমানে ক্যাম্পাসে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন ছাত্রদল ও শিবিরের নেতাকর্মীরা।

তবে যেকোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!