• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

গরু পালন করে স্বাবলম্বী টাঙ্গাইলের চরাঞ্চলের নারীরা


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২৩, ০৮:১৫ পিএম
গরু পালন করে স্বাবলম্বী টাঙ্গাইলের চরাঞ্চলের নারীরা

সংসারের অন্যান্য কাজের পাশাপাশি গরু পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন টাঙ্গাইলের চরাঞ্চলের নারীরা। আর্থিক স্বচ্ছলতার পাশাপাশি সামাজিক মর্যাদাও বৃদ্ধি পেয়েছে তাদের।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দ্যাইনা ইউনিয়নের বিন্ন্যাফৈর গ্রামের সুমি আক্তার। অভার অনটনের সংসার তার। স্বামী শাহজালাল রিকশা চালিয়ে যা আয় করেন তাতে তিনজনের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় তাদের। সংসারে স্বচ্ছলতা আনতে দুই বছর আগে বেসরকারি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ৪৭ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কেনেন। গত কোরবানির আগে গরুটি বিক্রি করে লাভ করেন। আর তাই এবারও তিনি কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য ৪৮ হাজার টাকা দিয়ে আরও একটি ষাঁড় কিনেছেন। গরুটির দাম উঠেছে ৯০ হাজার টাকা। তার মতো গ্রামের অনেক নারীই সাংসারিক কাজের পাশাপাশি গরু পালন করে অর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চরাঞ্চলের বাঘিল, দাইন্যা, কাকুয়া, হুগড়াসহ কয়েকটি ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় বাড়িতেই কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে চলছে গরুর বাড়তি পরিচর্যা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাড়ি থেকেই বিক্রি হচ্ছে এসব গরু।

দ্যাইনা চৌধুরী পাড়া গ্রামের আমেলা বেগম বলেন, “কোরবানি ঈদের পর কম দামে গরু কিনি। খড়, ঘাস, গমের ভূষি ও ভাতের মাড় খাইয়ে গরুগুলোকে মোটাতাজা করে এক বছর পর কোরবানির ঈদের আগে বিক্রি করি। তাতে ভালো লাভ থাকে।”  

বাঘিল ইউনিয়নের ফৈলার ঘোনা গ্রামের আমিনা আক্তার বলেন, “সংসারের অন্যান্য কাজের পাশাপাশি গরু লালন-পালন করি। বিগত কয়েক বছরে সংসারের ধার- দেনা শোধ করে বাড়তি আয় করেছি। এবার তিনটি গরু মোটাতাজা করেছি। এর মধ্যে গত শুক্রবার একটি গরু বাড়ি থেকেই এক লাখ ৫৫ হাজার টাকায় তিনি বিক্রি করেছি।”

কাঠুয়া যুগনী গ্রামের আরিফা খাতুন বলেন, “গত কোরবানির ঈদে তিনটি গরু কিনেছিলাম। খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৬০ হাজার টাকা লাভ করেছি। তারপর আমি আবার দুইটি গরু কিনি। সব খরচ বাদে আমার এবার এক লাখ টাকা লাভ হবে বলে আশা করছি।”

জেলার প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. রানা মিয়া বলেন, “এ বছর জেলায় প্রায় ৭০ হাজার গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলায় চাহিদার চেয়েও গরুর সংখ্যা বেশি রয়েছে। বাড়ির কাজের পাশাপাশি অনেক নারী কোরবানি উপলক্ষে গরু পালন করেছেন। কোরবানিতে গরু বিক্রি করে এক সঙ্গে অনেক টাকা আয় করছেন নারীরা। এতে করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন তারা। কোরবানির চাহিদা মেটাতে গরু পালনে গ্রামীণ নারীরা ব্যাপক অবদান রাখছেন।” 

Link copied!