• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

বিয়ের দাবিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে গণধোলাই, অতঃপর থানায়


পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ২২, ২০২৩, ০৭:০৭ পিএম
বিয়ের দাবিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে গণধোলাই, অতঃপর থানায়

বিয়ের দাবিতে প্রেমিককে গণধোলাই দিয়ে টেনে হিঁচড়ে থানায় নিলেন এক প্রেমিকা। প্রেমিকার দাবি, তিন বছরের অধিক সময় ধরে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেছেন তারা। পরে বিয়ে না করেই নগদ অর্থ হাতিয়ে লাপাত্তা হোন অভিযুক্ত প্রেমিক।

বুধবার (২২ মার্চ) ঘটনাটি বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত প্রেমিক নুরুল ইসলাম শাওন ঈশ্বরদী পূর্ব টেংরি ঈদগাহ রোড এলাকার মো. শহীদুল ইসলামের ছেলে। তিনি ঈশ্বরদী পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

ভুক্তভোগী তরুণীর দাবি ঈশ্বরদী ইপিজেডে চাকরির সুবাদে শাওনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। এক পর্যায়ে দুজনে ঘুরতে বের হলে দাশুড়িয়ার একটি কাগজ মিলে তাকে ধর্ষণ করেন শাওন। ভুক্তভোগী ধর্ষণের অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নিলে শাওনের পরিবার ছেলের সঙ্গে বিয়ের আশ্বাস দেন। এরপর তাদের অবাদে শারীরিক সম্পর্ক চলতে থাকে। সম্পর্কের নানা টানপোড়নে আবারো ফাটল ধরে তাদের সম্পর্কে। এবার ভুক্তভোগীকে বশ করতে শাওনের বাবা-মা তাদের ঈদগাহ রোডের বাড়িতে নিয়ে তোলেন। সেখানেই বিয়ে ছাড়াই তাদের একসঙ্গে থাকার ব্যবস্থা করে শাওনের পরিবার। এর কয়েকমাস পর ওই তরুণীকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর ভুক্তভোগী মামলা করার চেষ্টা করলে শাওন তাকে তার আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেন। পরে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয় শাওন। মঙ্গলবার শাওনকে বাস টার্মিনালে পেয়ে আটক করেন ভুক্তভোগী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেয়েটি বিয়ের দাবিতে শাওনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে শাওন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে গণধোলাই দেয়। তখন ভুক্তভোগী শাওনকে নিয়ে থানায় যান।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, প্রেমিক-প্রেমিকা কারো কোনো অভিযোগ না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

Link copied!