বাগেরহাটের মোংলা পশুর নদীতে ৮শ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ডুবে যাওয়া এমভি প্রিন্স অব ঘষিয়াখালী-১ নামের লাইটার উদ্ধারে কার্যক্রম শুরু করেছে মালিকপক্ষ।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করা হয়।
ডুবে যাওয়া নৌযানের মালিক মো. বশির আহম্মেদ জানান, নৌযান ডুবির মাত্র ১৬ ঘণ্টা পর আমরা উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছি। প্রথমে নৌযানে থাকা কয়লা অপসারণ করতে হবে। এরপর লাইটার উত্তোলন করা হবে। তাই কয়লা অপসারণের জন্য ‘ফারহা’ নামক একটি ট্রাকবোট ও অপসারণ করা কয়লা রাখার জন্য ‘মা বুশরা’ নামক অন্য একটি নৌযান ঘটনাস্থনে আনা হয়েছে। প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যে শুরু হবে কয়লা অপসারণ কাজ।
নৌযান মালিক পক্ষের দাবি, ৪-৫ দিনের মধ্যে কয়লা অপসারণসহ এমভি প্রিন্স অব ঘষিয়াখালী-১ নামক জাহাজটি উত্তোলন করা সম্ভব হবে।
কয়লা অপসারণ কাজে নিয়োজিত করা ‘মা বুশরা’ নামক নৌযানের মালিক মিজানুর রহমান জানান, আমরা ডুবন্ত জাহাজ থেকে কয়লা অপসারণের কাজ শুরু করেছি। ৪-৫ দিনের মধ্যে কয়লা অপসারণ শেষ হবে। এরপরই ট্রাক বোর্ডের মাধ্যমে জাহাজটি উত্তোলন করা হবে।
উল্লেখ্য, মোংলা বন্দরে অবস্থানরত একটি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে ৮০০ মেট্রিকটন কয়লা বোঝাই করে যশোরের নোয়াপাড়া যাওয়ার সময় শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে পশুর চ্যানেলের কানাইনগর তলাপেটে ডুবে যায় এমভি প্রিন্স অব ঘষিয়াখালী-১ নৌযান। ওই লাইটার ডুবির পরও বন্দর চ্যানেলে জাহাজ স্বাভাবিক রয়েছে।
