নরসিংদীতে লালন সংগীতের আখড়াবাড়ি পুলকিত আশ্রমে হামলা ও বাদ্যযন্ত্র ভাঙচুর করেছে সন্ত্রসীরা। এ ঘটনায় তিন বাউল শিল্পী আহত হয়েছেন।
রোববার (৮ মে) বিকালে বেলাব উপজেলার পাটুলি ইউনিয়নের ভাবলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে ভাবলা গ্রামে লালন সংগীতের আখড়াবাড়ি পুলকিত আশ্রমের প্রতিষ্ঠা করেন জাহাঙ্গীর আলম ভূইয়া। তার সঙ্গে পূর্ব শত্রুতা ছিল হামলাকারী শেখ জাহাঙ্গীর এবং শাহীনের। তারা তিনজন সম্পর্কে চাচাতো-মামাতো ভাই।
আশ্রমের বাউলরা জানায়, সোমবার পুলকিত আশ্রমে সাধুসঙ্গের দিন ধার্য ছিল। সে উপলক্ষে সারা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সাধু-ফকির, বাউল শিল্পীরা আগে থেকেই আশ্রমে উপস্থিত ছিলেন। দুপুরে শেখ জাহাঙ্গীর এবং শাহীনের নেতৃত্বে ৫ থেকে ৬ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রসহ জাহাঙ্গীর আলম ভূইয়াকে খুঁজতে আশ্রমে আসেন। জাহাঙ্গীরকে না পেয়ে সন্ত্রাসীরা আশ্রমে হামলা শুরু করলে তাদের বাধা দেন বাউল শিল্পীরা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আগত শিল্পীদের ওপর হামলা চালায় তারা। এ সময় শেরপুর জেলার মিন্টু বাউল (৩০), খুলনার রিয়াদ ভূঁইয়া (৩২) ও কিশোরগঞ্জের খোকন বাউল (৪০) আহত হয়েছেন। তাদের সঙ্গে থাকা তনপুরা, দোতারাসহ সব বাদ্যযন্ত্র ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
পুলকিত আশ্রমের দায়িত্বে থাকা জাহাঙ্গীর আলম ভূইয়া বলেন, “এখানে দেশের দূর-দূরান্ত থেকে অনেক বাউলপ্রেমী এবং সংগীতপ্রেমী মানুষ এসে গান-বাজনা করে। সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রসহ আশ্রমে এসে লালন সংগীতের শিল্পীদের বাদ্যযন্ত্র ভাঙচুর এবং শিল্পীদের ওপর হামলা করে তিনজনকে আহত করে। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি।”
বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ তানভীর আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, “আগে থেকেই জাহাঙ্গীর ভুইয়া এবং শেখ জাহাঙ্গীরের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। তার জের ধরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এই ঘটনাটি উসকানিমূলক কোনো বিষয় কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও কেউ থানায় কোনো অভিযোগ করেনি। তবে আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। আমরা লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেব।”
আপনার মতামত লিখুন :