সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শেষ হয়েছে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ। বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় ১৪৫টি কেন্দ্রে শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ শেষ হয় বিকাল সাড়ে ৪টায়। ভোট গ্রহণ চলাকালে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
ভোট গ্রহণ শেষে প্রতিটি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গণনা শেষে ভোটের ফলাফল জানতে উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে এখন ভিড় জমাচ্ছেন প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থক, ভোটারসহ সাধারণ মানুষ। ফলাফলে কে হাসবেন শেষ হাসি, তা নিয়ে চলছে চুলছেঁড়া বিশ্লেষণ।
ভোট গ্রহণ শেষে কথা হয় জাতীয় পার্টির প্রার্থী (জাপা) এ এইচ এম গোলাম শহিদ রঞ্জুর সঙ্গে। তিনি জানান, প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তায় সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়েছে ভোটগ্রহণ। তবে কিছু কিছু কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলের কর্মী-সমর্থকরা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন। কেন্দ্রগুলোতে ভোটের যে ফলাফল তাতেও প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কা করছেন তিনি। সুষ্ঠুভাবে ফলাফল ঘোষণা হলে লাঙ্গলের জয় সুনিশ্চিত।
সুষ্ঠুভাবে উপনির্বাচন সম্পন্ন হওয়ায় নির্বাচন কমিশনসহ ভোটের মাঠে দায়িত্বরত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন। তিনি জানান, সবার আন্তরিকতায় সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। দিনভর সাঘাটা ও ফুলছড়ির মানুষ নৌকা প্রতীকেই ভোট দিয়েছেন। এ কারণে ফলাফলে নৌকা বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন বলে আশা করেন তিনি।
এদিকে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর তৎপরতায় ভোট গ্রহণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার কথা জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম।
ফরিদুল ইসলাম বলেন, “১৪৫টি কেন্দ্রের মধ্যে কয়েকটি ছাড়া নির্ধারিত সময় সাড়ে ৪টায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। নির্বাচন চলাকালে কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ভোট গ্রহণ শেষে স্ব-স্ব কেন্দ্রেই ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। এরপর সব কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফল একসঙ্গে ঘোষণা করা হবে।”
ফরিদুল ইসলাম আরও বলেন, “নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪ জন। ১৪৫টি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৩৫ শতাংশ।”
এই নির্বাচনে পাঁচ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মাঠে সক্রিয় ছিলেন আওয়ামী লীগের মাহমুদ হাসান রিপন (নৌকা) ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী (জাপা) এ এইচ এম গোলাম শহিদ রঞ্জু (লাঙ্গল)। ভোটের মাঠে প্রচারণায় দেখা যায়নি বিকল্পধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম (কুলা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমানকে (ট্রাক)। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ (আপেল) গত ২৫ ডিসেম্বর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।