• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

মিয়ানমারের মর্টার শেল এসে পড়ল বাংলাদেশে


বান্দরবান প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২৪, ০৭:০৪ পিএম
মিয়ানমারের মর্টার শেল এসে পড়ল বাংলাদেশে
তুমব্রু সীমান্তে বিজিবির টহল। ফাইল ছবি

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ও সেনাবাহিনীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। সীমান্তের ওপারের বিস্ফোরণের শব্দে প্রকম্পিত হচ্ছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু, বাইশফাঁড়ি, ফাত্রাঝিরি, রেজু আমতলি, গর্জবনিয়াসহ কয়েকটি গ্রাম।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ভোরে মিয়ানমারে ছোড়া তিনটি মর্টার শেল একে একে বাংলাদেশের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের তুমব্রুতে এসে পড়ে। এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে ওপারের অস্থিরতায় এপারে সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীসহ রোহিঙ্গাদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “তুমব্রু সীমান্তে কোনাপাড়া ও পশ্চিমকুল পাড়া এলাকায় মিয়ানমারের ছোঁড়া তিনটি মর্টার শেল এসে পড়েছে। আমার এলাকায় পশ্চিমকূলে বসবাসকারী নুরুল ইসলাম ও সাবেক মেম্বার গফুর চৌধুরীর বাড়ির উঠানে এসে মর্টার শেল পড়েছে। তবে কেউ হতাহতে হয়নি।”

সীমান্তের বসবাসকারীরা বলছেন, বুধবার ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত বান্দরবানের তুমব্রু ও টেকনাফ সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় মর্টার শেল ও গোলাগুলি শব্দ শুনেছেন।

জাদিমুড়া সীমান্তের দায়িত্বরত নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক বিজিবির এক সদস্য বলেন, ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত সীমান্তের ওপারে ব্যাপক গোলাগুলি শব্দ পাওয়া গেছে। থেমে থেমে ৪-৫ বার গুলি বর্ষণের শব্দ হয়। বিশেষ করে লাল দিয়া নামক এলাকায় তুমুল গুলি বর্ষণ হয়েছে।’

এ ঘটনায় তুমব্রু, কোনারপাড়া, ক্যাম্পপাড়া, তুমব্রুবাজারসহ কয়েকটি পাড়া পরিদর্শন করেছেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহ মোজাহিদ উদ্দিন ও পুলিশ সুপার (এসপি) সৈকত শাহীন। বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন তারা।

জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, সীমান্তের ওপারে গতকাল ১৮টি মর্টারশেল বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনেছেন স্থানীয়রা। এ কারণে অনেকে আতঙ্কে থাকলেও ভয়ের কোনো কারণ নেই। কেননা সীমান্তে ৩৪ বিজিবির সদস্যরা সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছেন। এ ছাড়া পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক খবর রাখছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. এরফানুল হক চৌধুরী বলেন, “আজকেও ওপারের গোলাগুলির শব্দ এপারে নাফ নদীর সীমান্তে বসবাসকারী লোকজন শুনেছেন। আমরা এখানকার মানুষদের সর্তক থাকতে বলেছি। পাশাপাশি নতুন করে যাতে কোনো অনুপ্রবেশ ঘটতে না পারে সেজন্য আমাদের সীমান্ত রক্ষীবাহিনী সর্তক অবস্থানে রয়েছে।”

 

Link copied!