• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে দিনাজপুর, বিপর্যস্ত জনজীবন


দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২৪, ১২:০৯ পিএম
সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে দিনাজপুর, বিপর্যস্ত জনজীবন
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দিনাজপুরে। ছবি : সংগৃহীত

দিনাজপুরসহ দেশের উত্তরাঞ্চলে রাভভর বৃষ্টির মতো ঝরেছে কুয়াশা। দিনব্যাপী কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে সড়ক ও মাঠঘাট। সেই সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। এক সপ্তাহ ধরে উত্তর জনপদের জেলাগুলোতে চলছে শীতের এমন দাপট। চলমান শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে রোববারও (১৪ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে।

আবহওয়া অফিসের তথ্যমতে রোববার (১৪ জানুয়ারি) দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯০ ভাগ। চলতি বছরে এটি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। একিসঙ্গে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। চলতি সপ্তাহে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভবনা আছে।

গত কয়েকদিন ধরে এ জেলায় দেখা মিলছে না সূর্যের। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) রাত থেকে শুরু করে বেলা ১১টা পর্যন্ত বৃষ্টির মতো পড়ছে শিশির। 

সূর্যের দেখা না মেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনজীবন বিপর্যস্ত। ঘর থেকে রাস্তায় পারতপক্ষে কেউ বের হচ্ছেন না। তবে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রাতেও বাইরে বের হতে হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষদের। শরীর উষ্ণ রাখতে অনেককে আগুন জ্বালিয়ে তা পোহাতে দেখা গেছে। অনেকে শীত থেকে রক্ষায় চটের বস্তা বা পুরাতন কাপড় জড়িয়ে দিয়েছেন গৃহপালিত পশুর গায়ে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দিনাজপুরে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার (১০ জানুয়ারি) ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি, বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) ১১ ডিগ্রি এবং শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) ১০ ডিগ্রি , ১৩ জানুয়ারি মৌসুমের সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি এবং রোববার (১৪ জানুয়ারি) সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।  

দিনাজপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়া সহকারী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে এ অঞ্চলের ওপর দিয়ে যে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল সেটি বর্তমানে বিরাজ করছে। যা আরও কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে। তারপর ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে।

এদিকে প্রচণ্ড শীতে কাবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। কুয়াশার কারণে অনেক বেলা পর্যন্ত হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে দূরপাল্লার যানবাহন। সন্ধ্যার পরে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। শীতের সকালে ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরা।

রাজমিস্ত্রী মনজের সরকার বলেন, প্রায় সপ্তাহ খানেক ধরে শীতের প্রকোপটা বেশি সঙ্গে শীতল বাতাসের কারণে সাইটে কাজ করতে খুব সমস্য হচ্ছে। সূর্য দেখা যাচ্ছে না লেবাররা কাজে আসছে না এ ঠান্ডায়।

ভ্যানচালক আবু তালেব বলেন, রোদ ওঠে না গত কয়েকদিন ধরে, খুব ঠান্ডা। রাস্তায় মানুষের চলাচল কমে গেছে। বাড়িতে বসে থাকলে পেটে খাবার যাবে না। ঠান্ডা হলেও ভ্যান নিয়ে বেড়িয়েছি রাস্তায়, কিন্তু সকাল থেকে ভাড়া নেই।

Link copied!