• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ


বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২৪, ০৪:৩০ পিএম
ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
যশোরের বেনাপোল বন্দরের প্রবেশদ্বারে ব্যবসায়ীদের অবস্থান। ছবি:

বিভিন্ন অনিয়ম ও হয়রানির প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের ডাকা ধর্মঘটে যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। এতে দুই বন্দরে সহস্রাধিক ট্রাক আটকা পড়েছে।

শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল থেকে বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।  

আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকার বিষয় নিশ্চিত করেন বেনাপোল কাস্টমস হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা আজিজ খান। তিনি বলেন, “ভারতের অংশে সমস্যার কারণে কাঁচামাল আমদানিকারকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এতে ব্যবসায়ীরা কর্মবিরতির ডাক দিলে বাণিজ্য বন্ধ হয়ে পড়েছে। দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বাণিজ্য সচলের চেষ্টা চলছে।”

সরেজমিনে জানা গেছে, আজ বেলা ১১টার দিকে কর্মবিরতি ডেকে আমদানি-বাণিজ্য বন্ধ করে দেন আমদানিকারক ও ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিংয়ের (সিঅ্যান্ডএফ) ব্যবসায়ীরা। এর পরপরই বেনাপোল বন্দর ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে সহস্রাধিক ট্রাক পারাপার করতে না পারায় আটকে পড়ে।

আমদানিকারক উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে স্লট বুকিংয়ের নামে ট্রাকপ্রতি ১০ হাজার রুপি নেওয়া হচ্ছে। তবে কোনো বৈধ সুবিধা ব্যবসায়ীরা পাচ্ছেন না। এতে তারা চাহিদামতো পণ্য আমদানি ও সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। এর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।

তিনি জানান, রমজানে পচনশীল পণ্য দ্রুত সরবরাহের নির্দেশনা রয়েছে।

সিঅ্যান্ডএফের ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান জানান, পেট্রাপোল বন্দর থেকে প্রতিদিন বিকেল ৪টার পরে পচনশীল পণ্য খালাস করা হয়। কিন্তু বেনাপোলে সরকার ২৪ ঘণ্টা বন্দর সচলের কথা বললেও বেনাপোল কাস্টমস সন্ধ্যা ৬টার পর পচনশীল পণ্য খালাস করে না। এতে ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। বাধ্য হয়ে এই অবস্থা থেকে বের হতে ধর্মঘট ডেকেছেন তারা।

Link copied!