বাড়িতে বাবার মরদেহ রেখে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে সুমাইয়া আক্তার নামের এক পরীক্ষার্থী।
বুধবার (১০ মে) চাঁদপুর শহরের বাবুরহাট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সে।
এর আগে সকাল ৬টার দিকে সুমাইয়া আক্তারের বাবা মিজান গাজী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি মৈশাদী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ হামানকর্দ্দি গ্রামের গাজী বাড়ির মৃত হাছান গাজীর ছেলে।
মিজানের দুই মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে সবার ছোট সুমাইয়া। সে এবার চাঁদপুর সদরের মৈশাদী ইউনিয়নের হামানকর্দ্দি পল্লী মঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, মিজান গাজী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। এর আগে তিনি স্ট্রোক করেন। সর্বশেষ মঙ্গলবার তিনি আবার অসুস্থ হয়ে চাঁদপুরের মতলব ডায়রিয়া হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. শরীফ সরদার বলেন, “আমাদের এলাকার মিজান গাজী ভাই সকালে মারা গেছেন। বাড়িতে তার মরদেহ রেখে মেয়েকে পরিবারের সবাই বুঝিয়ে পরীক্ষা দিতে যেতে বলেন। পরে সবার কথায় সে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।”
বাবুরহাট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের কেন্দ্র সচিব মোশাররফ হোসেন বলেন, “তার বাবার মৃত্যুর খবরটি ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমাকে জানিয়েছেন। আজকের পরীক্ষা ছিল ২৫ মিনিটের। তার মৃত্যুর বিষয়টি দুঃখজনক। সুমাইয়া যেন কোনোভাবেই মানসিকভাবে ভেঙে না পড়ে, সেই চেষ্টা করেছি। সে সুন্দরভাবে পরীক্ষা দিয়েছে। সামনের সব কটি পরীক্ষায় সে যেন অংশগ্রহণ করে সে জন্য আমরা তাকে সহযোগিতা করব।”
আপনার মতামত লিখুন :