ভক্ত ও দর্শনার্থীর সমাগম, পূজা-আর্চনায় দিনাজপুরে রথযাত্রা পালিত হয়েছে। এরই মধ্যে ব্যতিক্রমী একটি রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে জেলা শহরের তামুলিপাড়া এলাকায়। যার আয়োজক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা (এইএসসি) দেওয়া শিক্ষার্থী লাবণী সরকার বিপর্ণা।
রঙিন কাগজ, বোর্ড, আঠা, মাটি ও রং দিয়ে তৈরি করেছে রথ। আর তাতে বসিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দেবতা জগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলরামকে। সেই রথের জুড়ে দিয়েছে ছোট চাকা আর সামনে বেঁধেছে সুতা। যার মাধ্যমে বিপর্ণা তার পরিবারকে নিয়ে পালন করেছে এবারের রথযাত্রা।
লাবণী সরকার বিপর্ণা তামুলিপাড়া এলাকার বিপুল ও বিউটি দম্পতির সন্তান।
মঙ্গলবার (২০ জুন) ছিল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব রথযাত্রা। আর এই দিনটি উপলক্ষে লাবণী সরকার বানিয়েছিলেন ছোট একটি রথ। কথা বলে জানা যায়, এই রথ তৈরিতে তার পরিবারই ছিল তার একমাত্র অনুপ্রেরণা। এতে সহযোগিতা করেছেন তার মা, বাবা ও একমাত্র ভাই।
লাবণী সরকারের মা বিউটি সরকার বলেন, “আমার মেয়ে অনেক ছোটবেলা থেকেই সুন্দর আঁকতে পারে। তার হঠাৎ মনে হয়েছে সে রথ বানাবে। আমি তাকে নিষেধ না করে উৎসাহ দিয়েছি। আমি চাকা কীভাবে তৈরি করতে হয় শিখিয়ে দিলাম। বাকিটা ও নিজের মতো করেই করেছে। তার বানানো রথেই আমরা রথযাত্রা পালন করেছি। সত্যি অনেক আনন্দিত আমরা। গর্ব হচ্ছে তার ধর্মীও অনুভতি দেখে।”
লাবণীর প্রতিবেশী সবিতা কর বলেন, “মেয়েটাকে ছোটবেলা দেখেছি। আমার অবাক লেগেছে তার মাথায় এমন একটা বুদ্ধি এলো কীভাবে। তার মতো প্রতিটা ঘরে ঘরে এমন মেয়ে জন্ম হোক। আর বাবা মা তাদের ছোট থেকে এমন ধর্মীয় অনুভূতি দিয়ে বড় করে তুলুক। যাতে অন্তত তার বাবা মাকে সে সম্মানের স্থানে রাখতে পারবে।”
লাবণী সরকার বিপর্ণা বলে, “অনেক ভালো লাগছে। আমি আমার প্রতিবেশীদের নিয়ে এই রথ টেনে রথযাত্রা পালন করেছি। আমার বাবা, মা ও ভাই খুবই সহযোগিতা করেছেন। সবাই আমার জন্য আশীর্বাদ করবেন। আমি যেন বড় হয়ে ভালো কিছু করতে পারি। ভগবানের কাছেও এটাই চাই।”
আপনার মতামত লিখুন :