সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় সেচ পাইপের পানির সঙ্গে উঠছে কয়লা। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে শুরু হয়েছে নানা কৌতূহল। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার প্রত্যন্ত তালম ইউনিয়নের নামা সিলট গ্রামের এক কৃষকের আবাদি জমিতে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৯ জুলাই সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার তালম ইউনিয়নের প্রত্যন্ত নামা সিলট গ্রামের কৃষক শিহাব উদ্দিন তার আবাদি জমিতে শ্রমিকেরা সেচ কাজের জন্য পাইপ বসাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে ১২০ ফুট মাটির গভীরে গিয়ে বোরিংয়ের পাইপ আটকে যায়। এ সময় পাইপ দিয়ে পানি ও বালুর সঙ্গে কালোসদৃশ বস্তু উঠে আসে। পরে জমির মালিক শিহাব কালো কয়লা পাওয়ার বিষয়টি সবাইকে জানান।
ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় এক যুবক সেগুলোর ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন। এতে জেলাজুড়ে নানা কৌতূহলের সৃষ্টি হয়।
জমির মালিক শিহাব উদ্দিন বলেন, “শ্রমিকেরা কয়লা পাওয়ার বিষয়টি যখন আমাকে জানান, তখন তো আমার বিশ্বাসই হয়নি। পরে যখন আমি নিজ চোখে দেখলাম তখন তো অবাক হলাম। কালো বস্তুগুলো কয়লার মতো শক্ত। পরে অনেকেই এসে পাইপের নিচ থেকে কুড়িয়ে নিয়ে যায়। তবে এখন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কোনো কর্তৃপক্ষ ওই স্থান পরিদর্শন না করায় কয়লা পাওয়া বিষয়টি নিয়ে এলাকায় জুড়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে।”
তাড়াশের জিন্দানী ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক সনাতন দাশ বলেন, “কয়লা পাওয়ার বিষয়টি জানার পর আমি রাতেই সেখানে গিয়েছিলাম। কয়লার নমুনা সংগ্রহ করি এবং সঙ্গে সঙ্গে পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুরকে অবগত করি।”
এদিকে কয়লা পাওয়ার স্থান পরিদর্শন ও নমুনা পরিক্ষা করে ওই স্থানে কয়লার খনি আছে কি না, সেটি নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুর।
এর আগেও ওই এলাকায় সেচ যন্ত্র বসানোর সময় পাইপ দিয়ে কয়লা সাদৃশ্য বস্তু পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।