রাজবাড়ীতে পা বাঁধা অবস্থায় রুনা খাতুন (৩০) নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (২০ আগস্ট) সকালে প্রবাসী আনিছুর রহমানের বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত রুনা খাতুন পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের মুছিদাহ খামারডাঙ্গী গ্রামের কাতার প্রবাসী আনিছুর রহমানের স্ত্রী।
গৃহবধূর চাচা শ্বশুর আতাহার মণ্ডল বলেন, ‘আমার নাতি (গৃহবধূর কন্যা) উম্মে সিনহা (১০) জানিয়েছে, গভীর রাতে দেড় বছর বয়সী ছোট ভাইয়ের কান্না শুনে তার ঘুম ভাঙে। এরপর দেখে তার মা ঘরে নেই। পরে বারান্দায় গিয়ে দেখে প্রতিবেশী মিলন শেখকে। তার কাছে মায়ের কথা জানতে চায়। এ সময় মিলন শেখ তার মুখ চেপে ধরে টয়লেটে নিয়ে আটকে রাখেন। কিছুক্ষণ পরে টয়লেটের দরজা খুলে দিয়ে পালিয়ে যান মিলন। এরপর উঠানে পা বাঁধা অবস্থায় তার মাকে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করেন। এ সময় প্রতিবেশীরা এসে দেখেন তার মা মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন।”
প্রতিবেশী মিলন শেখের স্ত্রী চম্পা খাতুন বলেন, “প্রতিদিনের ন্যায় আমি আর আমার স্বামী একসঙ্গেই শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। পরে ও কোথাও গিয়েছে কি না তা আমি বলতে পারছি না।”
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) রেজাউল করিম বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।