বাঁশখালী থানার ককটেল বিস্ফোরণ এবং নাশকতা মামলার প্রধান আসামি বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু মুছা প্রকাশ মুছা মেম্বারকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রোববার (২৮ জানুয়ারি) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৭।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার।
গ্রেপ্তার মেম্বার (৪৫) উপজেলার পুকুরিয়া এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে।
র্যাব-৭ জানায়, গত ২ নভেম্বর বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা অবরোধ চলাকালে বাঁশখালী থানার সোনারটিলা এলাকায় রাস্তার ওপর অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দুষ্কৃতিকারীরা সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে লাঠিসোঁটা, লোহার রড ইত্যাদি নিয়ে রাস্তায় যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি, সাধারণ জনগণের মাঝে ভয়-ভীতির উদ্দেশ্যে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নাশকতা চালায়। এ সময় মো. করিমসহ ৭-৮ জন নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে গুরুতর জখম করে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
খবর পেয়ে বাঁশখালী থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নাশকতাকারীরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থল হতে বিভিন্ন আলামত জব্দ করে। এ ঘটনায় মো. করিম বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১৫৫ থেকে ২১৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার জানান, ককটেল বিস্ফোরণ এবং নাশকতা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি আবু মুছা প্রকাশ মুছা মেম্বার বাঁশখালী থানার পুকুরিয়া চৌমুহনী বাজার এলাকায় অবস্থান করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নুরুল আবছার আরও জানান, মুছা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন যে, অবরোধ কর্মসূচিতে সড়কে যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি, ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নাশকতা সৃষ্টি এবং বাদীকে মারধর করেন। তার বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি, বেআইনি সমাবেশ, নাশকতা, হত্যাচেষ্টা আইনে একটি মামলা রয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাঁশখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :