শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসিক সুবিধা নিশ্চিতকরণসহ ছয় দফা দাবিতে নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের একাডেমিক ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে সকাল থেকে অভিযুক্ত চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে একাডেমিক ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয় তারা। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভ সমাবেশ ও ক্লাস বর্জন চলছে।
দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী নূর মোহাম্মদ নাঈম বলেন, “আমরা প্রতিষ্ঠান থেকে যে অধিকারগুলো পাওয়ার কথা, তা পাচ্ছি না। এ জন্য আজ আমরা ৬ দফা দাবি নিয়ে একত্র হয়েছি। দাবিগুলো হচ্ছে হোস্টেল ডাইনিংয়ে ফ্যান, লাইট, চেয়ার, টেবিল সংকট সমাধান। হোস্টেলে পানির মোটর ও ট্যাংক সমস্যা সমাধান। কর্মচারীদের দায়িত্বহীন আচরণ, যার কারণে প্রতি ব্যাচের ক্লাস ব্যাহত হয়। হোস্টেলের চারপাশ অপরিষ্কার। লাইব্রেরিতে পড়ার পরিবেশ নেই। একই সঙ্গে লাইব্রেরিতে পর্যাপ্ত বই না থাকা, টেবিল, ফ্যান, লাইট ও লাইন সংকট। ওয়াশরুমে ট্যাপ, স্ট্যান্ড, স্যানিটারি সামগ্রী এবং পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা অপর্যাপ্ত। এসব সমস্যার দ্রুত সমাধান করা।”
পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী কাইছি আজমি রিদন বলেন, “নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজে নিজস্ব হাসপাতাল না থাকা, পানি না থাকা, ডেঙ্গু মশা নিবারণ না করা, হোস্টেলে ডাইনিং ও ফ্রেন্ড রাইট শেয়ার টেবিল ক্রোকারিজ সামগ্রী সংকট, হোস্টেলের পানির ফিল্টার এবং ট্যাংক সমস্যা, প্রতিটি ক্লাস হোস্টেলের চারপাশ পরিষ্কারসহ ৬ দফা দাবিতে ছাত্র ও ছাত্রীদের বিক্ষোভ সমাবেশ ও ক্লাস বর্জন চলছে। আজ সকাল ৯টা থেকে ক্যাম্পাসে ৩৫০ জন ছাত্রছাত্রী ক্লাস বর্জন করে এ আন্দোলন শুরু করে। একই সঙ্গে সকাল থেকে অভিযুক্ত চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তারা অবিলম্বে দাবিগুলো মেনে নিয়ে আজকের মধ্যে কাজ শুরু করতে হবে। তারা যতক্ষণ পর্যন্ত কাজ শুরু না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।”
নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবদুস সালাম প্রধান ফটকে তালা দেওয়ার অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, “শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবিগুলো শুনেছি। আলোচনা করে দাবিগুলো সমাধান করা হবে।”