হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় শিশু নিরাপত্তার অবনতিতে শঙ্কিত অনেক পরিবার। উপজেলা থেকে গত এক সপ্তাহে ৪ শিশু নিখোঁজ হয়েছে। হারিয়ে যাওয়া শিশুদের বয়স ৮-১০ বছরের মধ্যে। শিশুদের বিষয়ে অভিভাবকেরা থানায় (সাধারণ ডায়রি) জিডি করলেও শিশুদের উদ্ধারে প্রশাসনিক কোনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি।
ঘন ঘন শিশু নিখোঁজের ঘটনায় পুরো উপজেলাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনা অব্যাহত রয়েছে। থানার দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেছেন, “নিখোঁজের বিষয় পুলিশ তদন্ত করছে।”
গত ২২ অক্টোবর চুনারুঘাট পৌর শহরের বাসা থেকে বের হয়ে লিজা আক্তার নামে এক শিশু নিখোঁজ হয়। লিজা আমকান্দি গ্রামের কবির মিয়ার মেয়ে। সে চুনারুঘাট পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর থানায় সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে।
এরপর গত বুধবার শানখলা ইউনিয়নের পাইকুড়া গ্রামের ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়ার ছেলে আল আমিন নিখোঁজ হয়। সে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। একই দিনে দেওরগাছ গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে তানভীর (৮) নিখোঁজ হয়। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ছাত্র।
এদিকে সীমান্ত ইউনিয়ন গাজীপুরের বাসুল্লা গ্রাম থেকে ১০-১২ বছরের এক শিশুকে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় উদ্ধার করেছেন এলাকাবাসী। সে একেকবার একেক নাম-ঠিকানা বলছে।
এলাকাবাসী জানান, এর আগেও বহু শিশু চুনারুঘাট থেকে হারিয়ে গেছে। ২-৩ মাস পর কোনো কোনো শিশু বাড়ি ফিরেছে বিপর্যস্ত অবস্থায়। অনেকের কোনো সন্ধানই মেলেনি। ঘন ঘন শিশু নিখোঁজের ঘটনায় শিশু নিরাপত্তার অবনতি ঘটেছে। এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আশরাফ বলেন, “পুলিশের একাধিক টিম এ নিয়ে তদন্ত করছে। আশা করা যায় অতি দ্রুত এর সমাধান করা যাবে।”
আপনার মতামত লিখুন :