• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুরের ৩০ গ্রামে রোজা শুরু


শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০২৪, ০৮:৫৭ এএম
শরীয়তপুরের ৩০ গ্রামে রোজা শুরু

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে শরীয়তপুরের প্রায় ৩০টি গ্রামের মুসল্লিরা প্রায় ১০০ বছর ধরে এক দিন আগেই তারাবির নামাজ পড়ে পবিত্র রোজা পালন শুরু করেন। এ বছরও এসব গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ একদিন আগেই পবিত্র রোজা পালন করবেন বলে জানিয়েছে সুরেশ্বর পাক দরবার শরীফ।

রোববার (১০ মার্চ) রাতে শরীয়তপুরের সুরেশ্বর দরবার শরীফে পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে তারাবিহ নামাজের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৮টায় অনুষ্ঠিত প্রথম জামাতের ইমামতি করেছেন মাওলানা জুলহাস উদ্দিন ও সাড়ে ৮টার দ্বিতীয় জামাতের ইমামতি করেছেন মাওলানা আব্দুল কাদির।

জানা যায়, সারা দেশে সুরেশ্বর পাক দরবার শরীফের কয়েক লাখ ভক্ত ও অনুরাগী ১৯২৮ সাল থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র তারাবিহ, রোজা ও ঈদ উদযাপন করেন। এরমধ্যে শরীয়তপুরের সুরেশ্বর, কেদারপুর, চাকধ্, চন্ডিপুরসহ ৩০ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র রোজা পালন করেন। পবিত্র রোজা রাখার উদ্দেশ্যে মুসল্লিরা রোববার রাতে তারাবির নামাজ পড়ে ভোর রাতে সাহ্‌রি খাবেন। সোমবার থেকে তারা রোজা পালন করবেন।

সুরেশ্বর দরবার শরীফের ভক্ত আব্দুল জলিল। তিনিও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র রোজা রাখবেন বলে সুরেশ্বর দরবারে এসেছেন তারাবির নামাজ আদায় করতে। তিনি সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “আমার বাবাও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখতেন। আমরা বংশ পরম্পরায় এভাবেই ধর্ম পালন করি। ইনশা আল্লাহ আমি আগামীকাল রোজা রাখব।”

দরবার শরীফের গদীনশীন পীর শাহ সুফি সৈয়দ কামাল নূরী আল সুরেশ্বরী সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “পবিত্র রোজা রাখার উদ্দেশ্যে সুরেশ্বর দরবার শরীফের দুটি মসজিদে প্রায় ১০০ বছর ধরে তারাবির নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পৃথিবীতে চাঁদ একটাই। সুতরাং পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলেই আমরা তারাবি, রোজা ও ঈদ পালন করি। এ বছর প্রথম ও দ্বিতীয় জামাত মিলে প্রায় ১ হাজার মুসল্লি নামাজ পড়তে এসেছেন। সুরেশ্বরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রায় ৩০টি গ্রামের ২০ হাজার মুসল্লি আগামীকাল পবিত্র রোজা পালন করবেন।”
 

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!