• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১, ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২২


জামালপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২, ০৫:৫৬ পিএম
ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২২

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেফমুবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দু-গ্রুপের সংঘর্ষ ও মির্জা আজম হলে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে ২২ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মির্জা আজম হলের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  

আহতদের মধ্যে সমাজকর্ম বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ ও ফিশারিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এহসানুল হক ইরফান জামালপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

জানা যায়, সোমবার রাত সাড়ে ১০টা দিকে মির্জা আজম হলের ১০১ রুমে সিনিয়র-জুনিয়র শিক্ষার্থীর মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। কথা কাটাকাটির সূত্র ধরে রাত ১২টা দিকে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাউছার আহমেদ স্বাধীন বলেন, “মির্জা আজম হলে‌ ১০১ রুমে মাদকাসক্ত এক শিক্ষার্থী থাকেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীর নিচে পানি নিতে গেলে তাকে মাদকাসক্ত শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আহাদ হোসেন আকাশকে রুমে ডেকে নিয়ে গাঁজা সেবনের আহ্বান করেন। পরে সেখানে সেবন না করলে তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন এবং তার রুমে বড় ভাইদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করলে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। আমরা কয়েকজন জামালপুর শহরে ছিলাম এ খবর পেয়ে আমরা ক্যাম্পাসে আসি। পরে সবাই মিলে সমঝোতার চেষ্টা করলে সাদিকুর রহমান, এহসানুল হক ইরফান ও মুস্তাফিজুর রহমান সোহাগের নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে।”

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এহসানুল হক ইরফান বলেন, “আমাদের কর্মী শাকিল আহমেদকে প্রথমে মারধর করা হয়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে আমাদের ৬ জন আহত হয়েছেন।”

এদিকে মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কাউছার আহমেদ স্বাধীনের নেতৃত্বে হামলা ও ভাঙচুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

মির্জা আজম হলের প্রভোস্ট সাদিকুর রহমান বলেন, “রাতে সংঘর্ষের ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসি। এখানে আমাদের থাকার ব্যবস্থা না থাকাই আমরা জামালপুর শহরে থাকি।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার মোহাম্মদ আবদুল মাননান বলেন, “মধ্যরাতে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।  এ ঘটনায় ৬ সদস্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুজন আহত শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আমরা তাদের হাসপাতালে গিয়ে দেখে এসেছি।”

Link copied!