• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

প্রধানমন্ত্রীর কাছে কক্সবাজারবাসীর ১১ দাবি


কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২২, ০৯:২২ পিএম
প্রধানমন্ত্রীর কাছে কক্সবাজারবাসীর ১১ দাবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের কক্সবাজারের জনসভা স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসমাগম হবে বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী ২০১৭ সালের ৬ মে সর্বশেষ কক্সবাজারে এসে কক্সবাজারকে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ঘোষণার আলোকে কক্সবাজারে চলছে তিন লাখ কোটি টাকার ৪০টি উন্নয়ন মেগা প্রকল্প। যার সুফল পাচ্ছেন কক্সবাজারসহ দেশবাসী। এর মধ্যে এবার নতুন করে কক্সবাজারবাসীর পক্ষে আরও ১১টি দাবি প্রধানমন্ত্রীর কাছে উত্থাপন করা হবে।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে কক্সবাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবির কথা জানান আওয়ামী লীগের জেলা নেতারা।

নতুন ১১ দাবি হচ্ছে, কক্সবাজার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সংযুক্তিকরণ, কক্সবাজারের সঙ্গে মহেশখালী উপজেলার সংযোগ সেতু ও বাঁকখালী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মাণ, কুতুবদিয়া মগনামার মধ্যে ফেরি সার্ভিস চালু, কক্সবাজার পর্যটন গবেষণা ইনস্টিটিউট, চার লেনের মেরিন ড্রাইভ, ছয় লেনের কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহসড়ক, কক্সবাজার সিটি কর্পোরেশন, কক্সবাজার সিটি কলেজকে সরকারিকরণ, চকরিয়া উপজেলা মাতামুহুরীকে পৃথক উপজেলা ঘোষণা, ঝিনুক ব্যবসায় সঙ্গে জড়িত উচ্ছেদকৃত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন ও স্থায়ী আধুনিক ঝিনুক মার্কেট নির্মাণ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, ৭ ডিসেম্বর বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশাল জনসভায় ভাষণ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী ২০১৭ সালের ৬ মে একই স্থানে ভাষণকালে কক্সবাজারকে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দেন। যার অংশ হিসেবে কক্সবাজারের উন্নয়নে মেগা প্রকল্প ইতিমধ্যে দৃশ্যমান। জেলায় এখন কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, রেললাইন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, মাতারবাড়ীর কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প, সাবরাং এক্সক্লুসিভ ট্যুরিজম জোন, মেরিন ড্রাইভ, মেডিকেল কলেজ, সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম, কক্সবাজার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও ফুটবল স্টেডিয়াম, বিকেএসপি, খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্প, শেখ হাসিনা নৌ ঘাঁটি, হাই-টেক পার্ক, জাতীয় সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট, অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ ৪০টি বড় ধরনের উন্নয়ন মেগা হচ্ছে। এবার প্রধানমন্ত্রীর জনসভাটি কক্সবাজারবাসীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে নিয়েছে। এখানে পাঁচ লাখ জনসমাবেশ হবে। কেবল স্টেডিয়াম না পুরো কক্সবাজার শহর জনসমুদ্রে পরিণত হবে। এর জন্য সকল প্রস্তুতি শেষ।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা বলেন, “সকাল থেকে জনসভাস্থলে হারিয়ে যাওয়া স্থানীয় সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে, পাহাড়িদের সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব শাখাওয়াত মুন ও হাসান জাহিদ তুষার, আওয়ামী লীগের জেলা সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, আশেক উল্লাহ রফিক ও জাফর আলমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা আগামী ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজার সফরে যাচ্ছেন। ওইদিন উখিয়ার ইনানীর বঙ্গোপসাগরের পাড়ে দাঁড়িয়ে আন্তর্জাতিক নৌ মহড়ায় অংশগ্রহণ শেষে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের নিকটবর্তী লাবণীয় পয়েন্টের শহীদ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।

Link copied!