• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের শাস্তি দাবি শম্ভুর


বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২২, ১২:০৫ পিএম
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের শাস্তি দাবি শম্ভুর

বরগুনায় জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ ছাত্রলীগকে বেধড়ক পেটানোর ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীর বরখাস্তসহ বিচারের দাবি করেছেন‌ বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু।

সোমবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় বরগুনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ দাবি জানান।

ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, “পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, যে গাড়ি ভাঙচুর করেছে তাকে তারা চিনতে পেরেছে। আমি বলেছিলাম, যে ভাঙচুর করেছে তাকে দেখিয়ে দিন। আমি তাকে আপনাদের হাতে সোপর্দ করব। আসলে তাদের (পুলিশের) উদ্দেশ্যই ছিল ছাত্রলীগের ছেলেদের মারবে। আমি তাদের মার ফেরানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু ওখানে এত পুলিশ আসছে যে সেখানে কমান্ড শোনার মতো কেউ ছিল না।”

এমপি আরও বলেন, “১৫ আগস্টের দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। ওখানে পুলিশ কর্মকর্তা মহরম ছিলেন। তিনি অনেক ভুল করেছেন। আমরা চাই তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি দেখুক এবং তাকে বিচারের আওতায় আনুক। সে এখানে অপরাধ করছে। আমি সেখানে উপস্থিত, আমি তাকে বললাম কোন পিডাপিডি (মারধর) দরকার নাই। পুলিশের গাড়িতে ইট নিক্ষেপকারীর নাম বললে তাকে আমরা পুলিশের কাছে সোপর্দ করব। তার (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলী) ইচ্ছে ছাত্রলীগের কর্মীদের মারবে। আমার মনে হচ্ছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলী মূলধারা বাইরের লোক।”

সদ্য ঘোষিত ছাত্রলীগের কমিটির বিষয় শম্ভু বললেন, “বরগুনায় কোনো কাউন্সিল করা হয়নি। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা আমাদের পরামর্শ গ্রহণ করেনি। জেলা ছাত্রলীগের কমিটি কাউন্সিলের মাধ্যমে সকলের মতামত নিয়ে হলে আজ এত ঝামেলা হতো না। আপনারা জানেন যে ছাত্রলীগ করতে হলে যে পাঁচটি শর্তের কথা প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সে শর্তগুলো কমিটিতে মানা হয়নি। আমরা আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবকদের বিষয়টি জানিয়েছি। সেখান থেকে নির্দেশনা আসার অপেক্ষা করছি।”

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের কোনো বক্তব্য দেননি।

সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্সে ফুল দিতে যান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে ফেরার সময় শিল্পকলা একাডেমির সামনে পৌঁছালে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত গ্রুপের সদস্যরা তাদের ওপর হামলা চালান। এতে দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এর আগে দীর্ঘ আট বছর পর গত ১৭ জুলাই বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ২৪ জুলাই রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির অনুমোদন দেন। এতে জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৩৩ সদস্যের নাম প্রকাশ করা হয়। এর পর থেকেই সদ্য ঘোষিত এ কমিটি প্রত্যাখ্যান করে বরগুনা শহরে পদবঞ্চিতরা প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।

Link copied!