জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে অন্যান্য জেলার মতো কক্সবাজারেও গণপরিবহন ধর্মঘটের কারণে বিপাকে পড়েছেন হাজার হাজার পর্যটক। আগাম ঘোষণা ছাড়া হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধ হওয়ায় আটকা পড়েছেন তারা। তেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে পরিবহন ভাড়া নির্ধারণ না হওয়ায় এই অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার (৬ আগস্ট) কক্সবাজার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, কলাতলী, সুগন্ধা বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত থেকে ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছিল হানিফ পরিবহন, সৌদিয়া, মারছা, এসআই পরিবহনের মালিক কতৃপক্ষ। তবে সকাল থেকে কিছু কিছু বাস ইচ্ছেমতো চড়া দাম নিয়ে গাড়ি ছেড়েছে। এ নিয়ে পর্যটক ও সাধারণ যাত্রীরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের বাসের নতুন ভাড়া নির্ধারিত হলেও অন্যান্য রুটের ভাড়া পরিবর্তন হয়নি। ফলে শুধু চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের কিছু বাস চলাচল শুরু হয়েছে। কিন্তু ঢাকাসহ অন্যান্য রুটের বাসগুলো এখনো চলাচল শুরু হয়নি। এসব গাড়ি বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন কক্সবাজারে আগত পর্যটকরা।
আটকে পড়া পর্যটকেরা জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ায় হোটেল কক্ষ ছেড়ে দিয়ে বাস কাউন্টারে এসে দেখি বাসের অঘোষিত ধর্মঘট।
ময়মনসিংহ থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসা আবদুল হক বলেন, “হোটেল থেকে বাস টার্মিনালে এসেছি সকালে। কিন্তু বাস ছাড়ছে না, টিকিটও বিক্রি হচ্ছে না। এখন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাস কাউন্টারে দাঁড়িয়ে আছি।”
একই কথা বলেন জয়পুরহাটের সেলিম উদ্দীন। তিনি বলেন, “পরিবার নিয়ে গত বৃহস্পতিবার কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছি। পূর্বনির্ধারিত শনিবার সকালে বাসের টিকিট কাটতে গিয়ে পড়ে যাই বিপত্তিতে। সকাল থেকে চেষ্টা করে দুপুর পর্যন্ত টিকিট পাইনি।”
এই বিষয়ে কক্সবাজার পরিবহন শ্রমিক নেতা রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, “জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় সকাল থেকে দূরপাল্লার বাসগুলো নিজেদের মতো ভাড়া বাড়িয়ে যাত্রী ওঠানোর চেষ্টা করে। কিন্তু অধিকাংশ যাত্রী বাড়তি ভাড়ায় যেতে রাজি হয়নি। ফলে বাস চলাচল বন্ধ ছিল। তবে দুপুরে ভাড়া নির্ধারণ হলে আস্তে আস্তে বাস ছাড়তে শুরু করেছে।”
