• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১, ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তিন শিক্ষার্থীর বিস্ময়কর আবিষ্কার রোবট ‘মীনা’


লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২২, ০১:৪৪ পিএম
তিন শিক্ষার্থীর বিস্ময়কর আবিষ্কার রোবট ‘মীনা’

লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগের তিন শিক্ষার্থী আবিষ্কার করলো মিনা নামের বিস্ময়কর রোবট। রোবটটি দেখার জন্য লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা ও উৎসুক জনতা প্রতিদিন ভিড় করছে। রোবটটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ল্যাবরেটরিতে রাখা আছে।

পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তিন শিক্ষার্থী মেহেরাজ হোসেন সাগর, শান্তনু আচার্য ও ইয়াসির আরাফাত হৃদয় দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় মীনা নামের এই রোবটটি আবিষ্কার করে। রোবটটি তৈরিতে আরডুনো মেগা সার্কিট, সার্ভো মোটর, রাজভেরি ফাই, জিএসএম, আই-এ সেন্সর, বেসিক কম্পোনেন্টসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে এবং এতে অর্থ ব্যয় হয়েছে বিশ হাজার টাকা। রোবটটিকে যে কোনো প্রশ্ন করলে উত্তর দিতে সক্ষম।

মঙ্গলবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষকরা রোবটটিকে প্রশ্ন করছেন, বাংলাদেশের জাতীর পিতার নাম কী? রোবটটি অনায়াসে বলে দিচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান, বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান কোথায়? বঙ্গবন্ধুর জন্ম তারিখ কবে? বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির নাম কী—এরকম নানা প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে রোবট মীনা। এছাড়া রোবটটি বিভিন্ন ছড়া ও গান গাইতে পারে।

আবিষ্কারকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোবটটি তারা শিশুদের বিনোদনসহ পড়াশোনার সাথী হিসেবে ব্যবহার করার জন্য আবিষ্কার করেছেন। তবে এটিকে বাসা-বাড়ি এবং শপিংমলের নিরাপত্তার কাজেও ব্যবহার করা যাবে। বাসা-বাড়িতে অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটলে অ্যালার্ম বাজাবে ও মোবাইল ফোনে কলের মাধ্যমে সর্তক করে দেবে। 

আবিষ্কারক শান্তনু আচার্য বলেন, “রোবটটি আবিষ্কারের ক্ষেত্রে অধ্যক্ষ মহোদয়ের অনুপ্রেরণা ও ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগের সকল শিক্ষক, বিভাগীয় প্রধান শরীফ সোবহান, সাবেক বিভাগীয় প্রধান আতিকুর রহমান, ইউসুফ হাসান ও রিয়াজ সালমান আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করেছে।  তা না হলে আমরা সফল হতে পারতাম না। তবে এখানেই শেষ নয়, এটিকে আধুনিক ও উন্নত করার ক্ষেত্রে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।”

ইনস্টিটিউটের ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শরীফ সোবহান বলেন, “ছেলেদের এই আবিষ্কারে আসলেই আমি বিস্মিত হয়েছি। এই আবিষ্কারের পেছনে আমার বিভাগের সকল শিক্ষক যথেষ্ট সহযোগী ছিল। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আমরা রোবটটিকে আরও আধুনিক ও উন্নত করে বাজারজাত করতে পারবো বলে আমি বিশ্বাস করি। ছাত্র-ছাত্রীদের এমন উদ্যোগে আমি সব সময় তাদের পাশে থাকবো।”

পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী জয়দেব চন্দ্র সাহা বলেন, “আমি এখানে যোগদানের পর থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা ও যে কোনো কিছু আবিষ্কারের বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি। এই রোবট আবিষ্কার তারই প্রতিফলন। ভবিষ্যতেও তা চলমান থাকবে। জনবান্ধব যেকোনো কিছু আবিষ্কারে আমি ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে থাকবো।”
 

Link copied!