খালেদ মাসুম পাইলট। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক সফল উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফির ফাইনালে কেনিয়ার বিপক্ষে পাইলটের ব্যাট থেকে আসা ছক্কাই এনে দিয়েছিল ১৯৯৯ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার মর্যাদা। বাংলাদেশ ক্রিকেটে এই ক্রিকেটারের অবদান অপূরণীয় হয়েই থাকবে।
পাইলট দলের খারাপ সময়ে অধিনায়কের গুরুদায়িত্বও তুলে নিয়েছিলেন নিজের কাঁধে। বয়সের ভারে ও তরুণদের দলে জায়গা দিতে গিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন সেই ২০০৭ সালে। ব্যাট-প্যাড তুলে রাখলেও ক্রিকেটের সঙ্গেই আছেন বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে সফলতম উইকেটরক্ষক।
পাইলট ক্রিকেট ছাড়ার পর বর্তমানে কোচিং পেশার সাথে যুক্ত রয়েছেন। জন্মস্থান রাজশাহীতে ক্লেমন ক্রিকেট একাডেমির গুরুদায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এক সময়ের অধিনায়ক পাইলট গত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু রাজশাহী বিভাগ থেকে পরাজিত হন তিনি।
এবার তিনি রেস্তোরা ব্যবসায় নাম লেখালেন। পাইলট তার রাজশাহী শহরে অবস্থিত রেস্তোরাটির নাম দিয়েছেন ‘নোঙর’। আপাতত পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চললেও শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে রেস্তোরাটির।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) পাইলট নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে রেস্টুরেন্ট ব্যবসার কথা জানান। তিনি লেখেন, আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, শিগগিরই রাজশাহীর পাঠানপাড়া এলাকায় অবস্থিত আমার ‘নোঙর’ নামে রেস্তোরাটি চালু করতে যাচ্ছি।
"আপাতত আমরা সীমিত কিছু খাবারে পরীক্ষামূলকভাবে রেস্তোরাটি চালাচ্ছি ক্রেতাদের ফিডব্যাক দেখতে। ‘নোঙর’ ইনডোর, আউটডোর ও রুফটপে বসে সুলভ মূল্যে আধুনিক সব খাবার খাওয়ার ব্যবস্থা রাখবে। আমি আশা করি আপনার বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের জন্য রেস্টুরেন্টটি সর্বোত্তম খাবারের সঙ্গে সর্বোত্তম পরিবেশের চাহিদা মেটাবে।"
ক্রিকেট তারকারদের মধ্যে রেস্টুরেন্ট ব্যবসার সাথে যুক্ত সাকিব আল হাসান ও ইমরুল কায়েস। সাকিব'স ডাইন নামে রেস্টুরেন্টটি তারা যৌথ মালিকানায় করছেন। পাইলট রেস্টুরেন্ট ব্যবসার সাথে যুক্ত হয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন কিনা এটাই এখন দেখার বিষয়।