• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ম্যাচসেরা হয়ে কোহলি ক্ষমা চাইলেন জাদেজার কাছে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৩, ১১:১১ এএম
ম্যাচসেরা হয়ে কোহলি ক্ষমা চাইলেন জাদেজার কাছে
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে বিরাট কোহলি। ছবি: সংগৃহীত

ঘরে মাঠে বিশ্বকাপ তাই এবারের আসরের হট ফেভারিট ভারত। নিজেদের মাটিতে বিশ্বকাপে যে তারা ভালো খেলবে সেটা সবারই আগে থেকেই অনুমেয় ছিল। কিন্তু বিশ্বেমঞ্চে তারা রীতিমতো উড়ছে নিজেদের প্রথম ৪ ম্যাচে ৪টিতেই দাপুটে জয়। বিশ্বকাপে ভারতের সব ক্রিকেটারই সমান তালে পারফরম্যান্সে করছেন। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের দেওয়া ২৫৭ রানের লক্ষ্য বিরাট কোহলির সেঞ্চুরিতে ৫১ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জয় পায় ভারত। এই ম্যাচে কোহলি শতক হাঁকালেও ভারতের দলীয় পারফরম্যান্সের কারণে টাইগারদের সহজে হারিয়েছে তারা। তাই ম্যাচসেরা কোহলি পুরস্কার নিতে গিয়ে ক্ষমা চাইলেন রবিন্দ্র জাদেজার কাছে। কারণে এই ম্যাচসেরার পুরস্কারের অন্যতম দাবিদার ছিলেন জাদেজা।  

বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের রান মেশিন ৬ চার ও ৪ ছক্কায় কোহলি ৯৭ বলে ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন। জয়ে নিয়ে মাঠ ছাড়ার আগে শেষপর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১০৩ রানে। একপেশে ম্যাচে দর্শকদের বাড়তি বিনোদন হয়ে এসেছে কোহলির সেঞ্চুরি করার রোমাঞ্চকর মুহূর্তে। কারণ দলের রান এবং তার সেঞ্চুরি পেতে ১৯ রান যখন দরকার ছিল, এরপর আর তিনি সিঙ্গেল রান নেননি।

ম্যাচশেষে অবশ্য জাদেজারই পুরস্কার প্রাপ্য বলে উল্লেখ করেন কোহলি। কারণ প্রথম ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকেট ছাড়াও ক্যাচ নিয়েছেন দুটি, যার মধ্যে একটি ক্যাচ ছিল অসাধারণ দক্ষতায় লুফে নেওয়া। তাই তো ম্যাচসেরার পুরস্কার নেওয়ার সময় কোহলি বলেন, “সরি জাড্ডু (জাদেজা), তোমার ম্যাচসেরার পুরস্কার ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য। আমি চেয়েছিলাম বড় রান করতে। এই বিশ্বকাপে অর্ধশত পেয়েছি। কিন্তু আমি চেয়েছিলাম ম্যাচটা শেষ করে আসতে। সেই লক্ষ্য নিয়েই খেলছিলাম। শুবমানকে বলেছিলাম শুরুটা ভাল হয়েছে। এমন শুরু হলে মনে হয় স্বপ্ন দেখছি।”

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) পুনেতে দ্বিতীয় ইনিংসের ৪১ ওভারের প্রথম বলে চার, চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকান কোহলি। সেঞ্চুরি পেতে এর মাঝেই তিনি দুটি সিঙ্গেল রান নাকচ করে দেন। শেষ বলে রান নিয়েও আবারও ধরে রেখেছেন স্ট্রাইক। কোহলি সেঞ্চুরিটা চান, সেটি স্পষ্ট ছিল। অবশ্য তার এই প্রচেষ্টা শুরু হয় আরও আগে থেকেই। ৪০তম ওভারেও মিড-অনে দুবার দৌড়ে দুই রান করে নিয়েছেন। সিঙ্গেলের সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও স্ট্রাইক ছাড়েননি কোহলি।

কোহলির এমন মানসিকতা দেখে মনে হচ্ছিল বিশ্বকাপের নেট রানরেটের কথা আপাতত তার মাথায় নেই। তার শুধুই মাথায় ঘুরতে ছিল ৪৮তম সেঞ্চুরি করার নেশা। শেষ পর্যন্ত বিশাল ছক্কায় নিজের ও দলীয় লক্ষ্য পেরিয়েছেন কোহলি।

Link copied!