যে কারণে ক্ষমা চেয়েছেন মেসি

পিএসজির অনুমতি না নিয়ে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন জায়ান্ট লিওনেল মেসি, সঙ্গে তার পরিবার। এ কারণে নাখোশ হয়েছিল প্যারিসের ক্লাবটি। ফলস্বরূপ শাস্তিও পেয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী তারকা। তাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ২ সপ্তাহ। ভুল বোঝাবুঝির কারণে ক্ষমা চেয়েছেন বিশ্বের এই সেরা খেলোয়াড়। তবে প্রকৃত ঘটনা এত সহজ ছিল না।

অনুমতি না নিয়ে সৌদি আরব যাওয়ায় মেসির সঙ্গে পিএসজির সম্পর্ক শেষ ই হতে চলেছিল। আর্জেটাইন তারকার সঙ্গে চুক্তি আর নবায়ন করা হবে না- এমনটাই জানিয়েছিল প্যারসের ক্লাবটি। পিএসজি মেসির ওপর জারি করেছিল নিষেধাজ্ঞাও।

ক্লাবটি জানিয়েছিল, অনুমতি ছাড়া সৌদি আরবে যাওয়ায় লিওনেল মেসি ২ সপ্তাহ কোনো ম্যাচ বা অনুশীলনে অংশ নিতে পারবেন না। একই সঙ্গে এ সময়ে তিনি পাবেন না ক্লাব থেকে কোনো আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধা।

এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওবার্তা দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন মেসি।

আর্জেন্টাইন বলেন, "কী ঘটছে তা নিয়ে আমি এই ভিডিওটি তৈরি করতে চেয়েছিলাম। প্রথমত, আমার সতীর্থ এবং ক্লাবের কাছে ক্ষমা চাই। সত্যি বলতে, আমি ভেবেছিলাম আমাদের ম্যাচের পরের দিন ছুটির দিন থাকবে যেমনটি আগের সপ্তাহগুলোতে হয়েছিল। আমি সৌদি আরব সফরের আয়োজন করেছিলাম। এর আগেও একবার তারিখ নির্ধারণ করে আমি বাতিল করেছিলাম। এবার বাতিল করা সম্ভব ছিল না। আমি যা করেছি তার জন্য ক্ষমা চাই এবং ক্লাব যা সিদ্ধান্ত নেবে তার জন্য আমি অপেক্ষা করব, মেনে নেবো।"

এবার ফরাসি সংবাদমাধ্যম ‘আরএমসি স্পোর্ট’ফাঁস করেছে কেন মেসি ক্ষমা চেয়েছেন।

গণমাধ্যমটি জানায়, সৌদি যাওয়ায় মেসির সঙ্গে চুক্তি বাতিলের হুমকিও দেয় পিএসজি। বাতিলের আগে খেলোয়াড়ের সঙ্গে বৈঠকে বসারও চিঠি দেওয়া হয়েছিল। ওই চিঠি পেয়েই মেসির কপালে পড়ে চিন্তার ভাঁজ। কারণ পিএসজির আইনজীবীর পাঠানো চিঠির পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানানোর সুযোগ ছিল না আর্জেন্টাইনের।

মেসি ও পিএসজির আইনজীবী এরপর গোপন বৈঠকে বসেন। সেখানেই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার লক্ষ্যে প্যারিসের দলটির আইনজীবী মেসিকে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দেন।

এরপরই মেসি ইনস্টাগ্রামে ক্ষমা চেয়ে অনুশীলনে ফেরেন। খেলোয়াড়ের ক্ষমা চাওয়ায় পিএসজিও তাদের কঠোর অবস্থান থেকে সরে এসে মেসির প্রতি নমনীয় হয়েছে।