গত ডিসেম্বরে মেসির জাদুতে ৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। এরপর থেকে নিজের জন্মভূমিতে মেসি একের পর এক সম্মাননা পেয়েই যাচ্ছেন। কয়েকদিন আগেই জাতীয় দলের অনুশীলন সেন্টারের নাম মেসির নামে করেছে আর্জেন্টিনার ফুটবল ফেডারেশন (এএফএ)।
এবার আর্জেন্টিনা নয়, দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবল তৈরি করেছে মেসির ভাস্কর্য। আর্জেন্টিনাকে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জেতানো দিয়েগো ম্যারাডোনার পাশেই স্থায়ীভাবে রাখা হবে সেটি।
শুধু ভাস্কর্য গড়েই থামেনি কনমেবল, মেসিকে বিশ্ব ফুটবলের ‘শাসক’ ঘোষণা করেছেন সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট আলেহান্দ্রো দমিনগেজ। এ সময়ে মেসির হাতে ‘ফুটবলের ব্যাটন’ তুলে দিয়েছেন তিনি।
প্যারাগুয়েতে সোমবার (২৭ মার্চ) আর্জেন্টাইন ঘরোয়া ফুটবল টুর্নামেন্ট কোপা লিবার্তাদোরেসের ড্র অনুষ্ঠানে বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। সেখানেই মেসির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বিশ্বকাপ ট্রফির রেপ্লিকা ও ফিনালিসিমা ট্রফির রেপ্লিকা। শুধু মেসি নয়, কোচ লিওনেল স্কালোনিসহ বাকি সদ্যসরাও পেয়েছেন রেপ্লিকাগুলো।
মেসির হাতে ‘ফুটবলের ব্যাটন’ তুলে দেওয়ার সময় কনমেবল প্রেসিডেন্ট বলেন, “দক্ষিণ আমেরিকা ও বিশ্ব ফুটবলের নামে আজ বিশ্ব ফুটবলের নেতৃত্ব ও শাসনভার তোমার হাতে তুলে দিলাম।”
এমন সম্মাননা পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত মেসি। তিনি বলেন, “ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, ফুটবল ক্যারিয়ারে আমি সবকিছুই অর্জন করতে পেরেছি। আমার সব সতীর্থদের ধন্যবাদ, এত সুন্দর উপহার দেওয়ার জন্য। কনমেবলকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা খুবই বিশেষ আর দারুণ একটি মুহূর্তে কাটাচ্ছি। অনেক অনেক ভালোবাসা পাচ্ছি। লাতিন আমেরিকান কোনো দেশের বিশ্বকাপ জেতার সময়ই ছিল এটা।”
আন্তর্জাতিক ফুটবলের বিরতিতে দুইটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে আর্জেন্টিনায় গিয়েছেন মেসি। সেখানে প্রথম ম্যাচে পানামার বিপক্ষে দুর্দান্ত ফ্রি-কিকে ক্যারিয়ারের ৮০০তম গোলের দেখা পেয়েছেন তিনি। কুরাসাওর বিপক্ষে আরেকটি প্রীতি ম্যাচ খেলে ফরাসি ক্লাব পিএসজিতে যোগ দিবেন মেসি।