• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,
বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ম্যাচ

শ্রীলঙ্কাকে ২৬৩ রানে আটকে দিলো বাংলাদেশ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩, ০৬:৪৬ পিএম
শ্রীলঙ্কাকে ২৬৩ রানে আটকে দিলো বাংলাদেশ
শেখ মেহেদি ও নাসুম আহমেদ। ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু হয়ে গেছে টিমগুলোর প্রস্তুতি ম্যাচের মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশও মাঠে নেমেছে আজ (শুক্রবার) নিজেদের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে। প্রতিপক্ষ ছিল শ্রীলঙ্কা। টস জিতে ব্যাট করা লঙ্কানরা ৪৯.১ ওভারে ৯ উইকেটে ২৬৩ রান তোলেন। রিটায়ার্ট হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়া কুশল পেরেরা ব্যাট করতে আর মাঠে নামেননি। নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান হঠাৎ ইনজুরিতে পড়ায় এই ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে টস করেন মেহেদি হাসান মিরাজ।

গোহাটিতে প্রথমে টস জিতে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের হয়ে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার পাতুম নিসাঙ্কা ও কুশর পেরেরা। মাত্র ১৪ ওভারেই তারা দলীয় একশ রানের সংগ্রহ পেয়ে যায়। রানের গতি দেখে মনে হয়েছিল, অনায়াসে তিনশ পার করবে শানাকার দল। হাতের পেশীতে অস্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়েন পেরেরা। তার আগে আক্রমণাত্মক মেজাজে এই বাঁ-হাতি ব্যাটার করেন ৩৪ রান (২৪ বল)।

এরপর ক্রিজে আসা কুশল মেন্ডিসের সঙ্গে ওপেনার নিশাঙ্কা জুটি গড়েন ৪০ রানের। মেন্ডিসকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম উইকেটের সূচনা করেন নাসুম আহমেদ। নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে এই ডানহাতি ব্যাটার করেন ২০ রান।

অন্যপ্রান্তে থাকা ইনফর্ম ব্যাটার নিশাঙ্কা ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন এরই মধ্যে। শেখ মেহেদীর বলে তারই হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে তার ব্যাটে আসে ৬৪ বলে ৬৮ রান। তার আউটের পরই নিয়মিত বিরতিতে আরও দুই উইকেট হারায় লঙ্কানরা। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ ধারাবাহিক সাদিরা সামারাবিক্রমা এদিন মাত্র ২ রানেই ফিরেন, মেহেদীর শিকার হয়ে। টাইগার এই স্পিনার এরপর ফেরান ১৪ রান করা চারিথ আসালাঙ্কাকে। এরপরিই ম্যাচের লাগাম টেনে ধরে টাইগাররা। 

এশিয়া কাপেও রানখরায় ভোগা লঙ্কান অধিনায়ক শানাকা এদিন মাত্র ৩ রানে শরীফুলের বলে ক্যাচ আউট হয়েছেন। এরপর ইনিংস বড় করার চেষ্টা চালান ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও দিমুথ করুণারত্নে। করুণারত্নে (১৮ রান) আউট হতেই ২১৮ রানে ৬ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।

এরপর ডি সিলভার অর্ধশতকের সুবাদে আড়াইশ রান পেরোয় তারা। মাঝে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দুটি রান-আউটে বড় অবদান রাখেন। করুণারত্নকে তিনি আউট করেন সরাসরি থ্রোতে স্টাম্প ভেঙে দিয়ে। এরপর আর কোনো লঙ্কান ব্যাটার বলার মতো রান পাননি। পেরেরা আগেই রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়ায় ৪৯.১ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস।

বাংলাদেশের হয়ে ৯ ওভারে ৩৪ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন শেখ মেহেদী। সবচেয়ে সাশ্রয়ী বোলিং করা মিরাজ ১০ ওভারে ৩২ রানে নেন এক উইকেট। এছাড়া শরীফুল, নাসুম ও তানজিম সাকিব একটি করে শিকার করেছেন।

Link copied!