তৃতীয় দিন শেষে আট উইকেট হারিয়ে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২৮৬ রান। তারা এগিয়ে ছিল ১৩১ রানে। সেই সাথে সম্ভাবনাও জাগাচ্ছিল। কিন্তু ইবাদত হোসেন সেই সম্ভাবনা সত্যি করতে দিলেন না। তার জোড়া আঘাতে সকালের সেশনে দুই উইকেট হারাতে হয় আইরিশদের।
আগের দিন বাংলাদেশের গলার কাঁটা হয়ে ৭১ রানে অপরাজিত ছিলেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন। গ্রাহাম হিউম তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন। তবে আর মাত্র ৬ রান যোগ হতেই দুই উইকেট তুলে নিলে আইরিশরা মাত্র ২৯২ রানে অলআউট হয়। ফলে বাংলাদেশের সামনে জয়ের জন্য মাত্র ১৩৭ রানের লক্ষ্য।
দিনের শুরুতে ম্যাকব্রিনের উইকেট তুলে নেন ইবাদত হোসেন। চতুর্থ দিনের শুরুতে মাত্র ১ রান যোগ করেই ফিরতে হয় তাকে। এরপর মাত্র ৩ রান যোগ করে ফেরেন গ্রাহাম হিউমও। তার উইকেটও তুলে নেন ইবাদত। মাত্র ২৯২ রানে আইরিশদের বেধে ফেলে টাইগাররা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) দিনের শুরুতেই উইকেটের সম্ভাবনা জাগান তাইজুল ইসলাম। তবে লিটন দাস ক্যাচ ফেলায় মাত্র ৯ রানে জীবন পান হ্যারি টেক্টর। এরপর ফের আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫৬ রানে। টেক্টর ফেরার পর ম্যাকব্রাইনকে নিয়ে আবারও জুটি গড়েন টেকর।
দুর্দান্ত ব্যাটিং করা টেকর করেন ১০৮ রান। ম্যাকব্রাইনের সঙ্গে গড়েছেন ১১১ রানের জুটি। দলীয় ২৩৪ রানে ফেরার আগে দলকে লিডও এনে দিয়েছেন টেকর। এরপর মার্ক অ্যাডায়ার দ্রুত ফিরলে হিউমকে নিয়ে নতুন জুটি গড়েন ম্যাকব্রাইন। শেষ পর্যন্ত দিনের শেষভাগেও তাদের জুটি ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ।
আপনার মতামত লিখুন :