সত্যিকারের নির্বাচন কমিশন করতে হলে আমাদেরকে জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শিশুকল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর এমএজি ওসমানীর ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী স্মরণ উপলক্ষে ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্ক ও তার প্রভাব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে জাতীয় সরকার নয় উল্লেখ করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, “আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ রেহানা, তার ছেলে, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, বিএনপির যারা আছে তাদের নিয়ে আর আমরা সাধারণ মানুষ যারা আছি, তাদের নিয়ে জাতীয় সরকার করেন।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, “জাতির সামনে কঠিন সমস্যা আছে। একদিকে করোনা আরেক দিকে ডেঙ্গু। আরেকটা নতুন ভাইরাস; নিপা ভাইরাস। তিন রোগেরই চিকিৎসা সহজ। করোনায় সবাইকে টিকা দিতে হবে।”
সস্তায় টিকা পাওয়া যায় উল্লেখ করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, “কিন্তু সস্তায় টিকা কিনলে সরকারের পকেট ভরে না। তাই তারা কিনবেন না। ডেঙ্গুর চিকিৎসা ৮০ পয়সার প্যারাসিটামল। মশারি টানাতে হবে আর প্যারাসিটামল খেতে হবে। এটাই চিকিৎসা, কিন্তু এই প্যারাসিটামল বাজারে পাওয়া যায় না। আজ যদি ৮০ পয়সার প্যারাসিটামল পাওয়া না যায় তাহলে উন্নয়ন কতটা হয়েছে ভেবে দেখেন।”
সামনের নির্বাচন নিয়ে সরকার নতুন পরিকল্পনা করছে উল্লেখ জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, “কারো ভোট দিতে হবে না। এই যে গণতন্ত্র হত্যা করল। এই হত্যাটা কে করেছে? সেই ঘুষখোর, লুটপাটাকরীর নাম কী? তিনি হচ্ছেন খায়রুল হক (সাবেক প্রধান বিচারপতি)। জাতিকে শেষ করে দিয়েছেন। খায়রুল হকের বিচার হওয়া দরকার। একজন লোক হত্যা করলে ফাঁসি হয়, জেল হয়। আমি ফাঁসির বিরুদ্ধে, তাই তাকে আজীবন সশ্রম কারাদণ্ড হওয়া উচিত।”
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলেন সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মিডিয়া উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নুর প্রমুখ।
