দেশে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট গুণিতকহারে বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গবেষকরা। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করে এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) গবেষকরা।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বিএসএমএমইউতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে করোনা আক্রান্তদের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়। সেখানে মূল তথ্য উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
উপাচার্য বলেন, “২০২১ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত করোনা আক্রান্তদের নমুনা সংগ্রহ করে ভাইরাসটির জিনোম সিকোয়েন্সিং করেন তারা। জিনোম সিকোয়েন্সে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মোট সংক্রমণের প্রায় ৯৮ শতাংশ হচ্ছে ইন্ডিয়ান বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট, ১ শতাংশ সাউথ আফ্রিকান বা বেটা ভ্যারিয়েন্টে এবং ১ শতাংশ মরিসাস বা নাইজেরিয়ান ভ্যারিয়েন্ট।”
এছাড়া গত বছরের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত করোনার ৯৬টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করে দেখা যায়, মোট সংক্রমণের ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট এবং ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা গেছে ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট। পরবর্তী মাসে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট গুণিতকহারে বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
সারাদেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের মোট ৭৯৬টি নমুনা সংগ্রহ করে এই গবেষণা চালানো হয়। গত বছরের ২৯ জুন থেকে এই বছরের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ৬ মাস ১৫ দিন চলে এই গবেষণা। গবেষণায় ৯ মাস থেকে ৫৮ বছর বয়সী করোনা আক্রান্ত অন্তর্ভুক্ত ছিল।
গবেষণায় দেখা যায়, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে যাদের ক্যান্সার, হৃদরোগ, শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা, ডায়াবেটিস আছে তাদের মৃত্যুর হার বেশি। এছাড়া ৬০ বছরের বেশি বয়সীরা দ্বিতীয়বার করোনায় আক্রান্ত হলে মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি দেখা যায়।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান গবেষক জেনেটিক্স অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ও অ্যানাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. লায়লা আনজুমান বানু।