• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বাজারে পাইকারি ও খুচরা দামে বিস্তর ফারাক


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৪, ১০:০২ পিএম
বাজারে পাইকারি ও খুচরা দামে বিস্তর ফারাক
মুদি দোকান। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

গত কয়েক মাস ধরেই নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা চলছে। কোনো ঘোষণা ছাড়াই হুট করে যেকোনো পণ্যের দাম রাতারাতি বাড়িয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও তেমন একটা সুফল পাচ্ছেন না ভোক্তারা।

প্রতিটি পণ্যের পাইকারি থেকে খুচরা দামে বিস্তর ফারাক রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভোক্তারা। তাদের ভাষ্য, পাইকারি পর্যায়ে থেকে খুচরা বাজারে অধিকাংশ পণ্যেই ৫০-৬০ টাকা পার্থক্য। আবার কোনো কোনো পণ্যে এর থেকেও বেশি টাকা পার্থক্য দেখা দিয়েছে।

মো. রফিক নামের এক ক্রেতা সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “পাইকারি পর্যায়ে আলুর কেজি ৩২ টাকা। কিন্তু খুচরা বাজারে একই আলু সর্বোচ্চ ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। শুধু আলু দিয়েই উদাহরণ দিলাম। এছাড়াও বাজারে ডাল, ছোলা, এলাচ, রসুনসহ আরও অন্যান্য পণ্যেও পাইকারি দামের থেকে খুচরা বাজারের দাম আকাশ-পাতাল পার্থক্য। বড় বড় ব্যবসায়ীরা এক দাম বাড়ায়, খুচরা ব্যবসায়ীরা সেই পণ্য এনে নতুন করে আরও দাম বাড়িয়ে দেয়।”

ওই ক্রেতা আরও বলেন, “বাজারে সবসময় সবকিছু জিনিসের দাম বাড়ে, অথচ আমাদের ইনকাম বাড়ে না। সংসার চালাতে কী পরিমাণ হিমশিম খেতে হচ্ছে, তা একমাত্র আমাদের মতো মধ্যবিত্তরাই বুঝি। আমাদের কষ্ট বোঝার মতো আর কেউ নেই।”

বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে খুচরায় এক কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। যার পাইকারি মূল্য ৮৫ থেকে ৯১ টাকা। মুগডালের পাইকারি দাম ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা। তবে খুচরায় তা বিক্রি হচ্ছে আরও ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশিতে। প্রতি কেজি মুগডালের খুচরা দর ১৬০ থেকে ১৮০ টাক।। মসুর ডালের দামের পার্থক্য ১০ টাকা। অ্যাংকর ডালের কেজি পাইকারিতে ৬৮ টাকা হলেও খুচরায় তা ৮০ টাকা। এসব অতিরিক্ত দামের দায় নিতে রাজি নন আড়তদাররা।

এদিকে দাম বৃদ্ধির কারসাজিতে বড় বড় ব্যবসায়ীদেরই দায়ী করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কারওয়ান বাজারের এক ব্যবসায়ী সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “রমজান এলেই সাধারণ মানুষের পণ্য ক্রয়ের প্রবণতা বেড়ে যায়। যে আগে কিনত এক কেজি, সে কিনবে পাঁচ কেজি। একজন মানুষ যখন চাহিদার তুলনায় চার কেজি বেশি ক্রয় করে থাকে, তাহলে ঢাকায় কত লোক আছে; তারা কী কিনবে। বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করলেই ফলাফল বের হয়ে যাবে।”

ওই ব্যবসায়ী আরও বলেন, “সামনে রমজান আসছে। বড় বড় ব্যবসায়ী যারা আছেন তারা এক ধাপ পণ্যের দাম বাড়াবে। খুচরা ব্যবসায়ীরা যারা আছেন, তারাও তো লাভের আশায় দাম বাড়াবে। এটাই স্বাভাবিক। ফলে যেটা হবে বড় ব্যবসায়ী আর খুচরা ব্যবসায়ীদের লাভের পরিমাণ ভাগাভাগির বলি হবে সাধারণ মানুষ।”

Link copied!